খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল দু’বছরের এক শিশুর। তাকে দেখে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন মৃত শিশুর পিসিও। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ কালিয়াগঞ্জ থানার বাঘন বটলতির কোঁওর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম রিয়া দেবশর্মা। তাঁর পিসির নাম নিনামি দেবশর্মা (৪০)। বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে দু’টি দেহের ময়নাতদন্ত করেছে পুলিশ। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবারের লোকজন-সহ প্রতিবেশীরা।
হাসপাতাল সুপার গৌতম মণ্ডলের দাবি, শিশুটির দেহ দেখে তার পিসি শোকে সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কারওরই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে রিয়া বাড়ির পাশে খেলার সময়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বহু খোঁজাখুজি করেও তার হদিস পাননি। রাত ৮টা নাগাদ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে রিয়ার দেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। এর পর শিশুর দেহ বাড়িতে আনতেই তা দেখে জ্ঞান হারান তার পিসি নিনামিদেবী। তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, খেলার সময়ে পা পিছলে পুকুরে পড়ে তলিয়ে যায় রিয়া।
রিয়ার বাবা নিরানন্দবাবু পেশায় চাষি। মা রীতাদেবী গৃহবধূ। তাঁরা একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে যখন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন, ঠিক তখনই নিনামিদেবীর মৃত্যুতে তাঁরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। কালিয়াগঞ্জের মহাদেবপুর এলাকার বাসিন্দা নিনামিদেবী গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর স্বামী শ্রীমন্ত বর্মনের সঙ্গে শিলিগুড়িতে দিনমজুরির কাজ করছেন। কিছু দিন আগে নিমামিদেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিত্সা করানোর জন্য ৩ সেপ্টেম্বর স্বামীকে নিয়ে ভাই নিরানন্দবাবুর বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।