জুহিকে সংবর্ধনা দলীয় কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র
জামিন পেয়েছিলেন ক’দিন আগেই। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির আসাম মোড়ের বাড়িতে এসে পৌঁছলেন জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী জুহি চৌধুরী। এ দিন তিনি জানান, তাঁর দল সবসময় পাশে ছিল। ভবিষ্যতে দলের হয়ে কাজ করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন তিনি। তবে এখনও দলের কারও সঙ্গে কথা হয়নি বলেও জানান তিনি।
এ দিন জলপাইগুড়িতে জুহির বাড়িতে ভিড় জমান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ফুলের তোড়া দিয়ে জুহিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা। চলে মিষ্টিমুখ। আবদার ছিল নিজস্বী তোলারও।
২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে শিশু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ওই মামলায় হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী-সহ মোট সাতজন গ্রেফতার হয়। ধৃতদের মধ্যে প্রথম জামিন পেলেন জুহি। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জুহির জামিন মঞ্জুর করেন। শিশু পাচার মামলায় ধৃত সকলেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন। ছিলেন জুহিও। চলতি বছরের ১৫ মার্চ তাঁকে শিলিগুড়ির বিশেষ সংশোধনাগারে পাঠান হয়েছিল।
এ দিন জুহি বলেন, ‘‘আমার রক্তে বিজেপি রয়েছে। দলকে ভালোবাসি। দল করব। সমাজসেবা মূলক কাজ চালিয়ে যাওয়া আমার লক্ষ্য। এখন দলের কারোও সঙ্গে কথা হয়নি। দেখা করে সকলের সঙ্গে কথা বলব। যারা আমাকে এই ভাবে অপমান করল তাঁদের সঙ্গে আইনিভাবে লড়াই চালিয়ে যাব।’’
জুহির বাবা রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি ৩০ বছর বিজেপি করছি। বিজেপি জেলা সভাপতি, রাজ্য সম্পাদক ছিলাম। এত দিন বুথে পাথর রেখে মুখ বুজে ছিলাম। রাজনীতির চক্রান্তে আমার মেয়েকে আড়াই বছর জেলে থাকতে হল। আজ জয়ী হলাম। আমি চাই শিশু পাচার কাণ্ডে যারা জড়িত সবাইকে ধরা হোক।’’ জুহির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘জুহির পাশে দল ছিল এবং আছে। আইনের প্রতি ভরসা ছিল। তৃণমূলের চক্রান্ত প্রমাণ হল।’’
এই বিষয়ে রাজনীতি করতে চান না বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি চন্দন ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তকারী দলের কাছে প্রমাণ আসার পরেই জুহি গ্রেফতার হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন। এখানে রাজনীতির বিষয় নেই। এখন তৃণমূলের নামে কুৎসা রটনার জন্য তাঁরাই রাজনীতি করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy