প্রস্তুতি: চিলাহাটি রেল স্টেশনে নির্মিত হলদিবাড়ি-চিলাহাটি আন্তর্জাতিক রেল রুটের স্মারক। নিজস্ব চিত্র
করোনার কারণে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল রুটের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হবে না। রেল সূত্রে খবর, হলদিবাড়ি স্টেশনে ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ দিন কোচবিহারের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই রেল পরিষেবার কথা উল্লেখ করেন।
আজ, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই রেল রুটের উদ্বোধন করবেন।
তবে বাংলাদেশের চিলাহাটি স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হয়েছে স্মারক। স্টেশনকে ফুল ও বাহারি আলোয় সাজানো হয়েছে। সাজানো হয়েছে ৩২টি ওয়াগনের একটি মালগাড়ি। ইঞ্জিনের সামনে লাগানো হয়েছে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারে বড়পর্দার ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সন্ধ্যায় ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়, করোনার কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আড়ম্বর করা হচ্ছে না। রেলকর্তারা ছাড়া কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারের আসা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
উদ্বোধন ঘিরে বিজেপির তরফে রেলস্টেশন চত্বরে মিষ্টি বিতরণের পরিকল্পনা থাকলেও অনুমতি দেননি রেল কর্তৃপক্ষ। বদলে হলদিবাড়ি রেলগেটের সামনে মিষ্টি বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি জানিয়েছে।
বুধবার কোচবিহারের কর্মিসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল রুটের প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নিউ বঙ্গাঁইগাও-যোগীঘোপা আমি করে দিয়েছিলাম। কোচবিহার স্টেশনের আধুনিকীকরণ করেছিলাম। চ্যাংরাবান্ধা-মালবাজার করে দিয়েছি। তখনই প্রস্তাব দিয়েছিলাম হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল রুটের। সেটাও দু-তিন দিনের মধ্যে হয়ে যাবে।’’
উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন্দ চন্দ বলেন, ‘‘করোনার কারণে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল রুটের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ চিলাহাটি রেল স্টেশন থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রেন সীমান্ত পেরিয়ে হলদিবাড়ি স্টেশনে আসবে। স্টেশনে সেই ট্রেনকে স্বাগত জানাবেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দ্রকুমার বর্মা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy