শিশু পাচার কাণ্ডে নর্থ ব্লকের যোগাযোগের বেশ কিছু প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে বলে দাবি করল সিআইডি।
তাঁদের বক্তব্য, ১০ ফেব্রুয়ারি বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী ও হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ আমলাদের সঙ্গে দেখা করেন। নর্থ ব্লকে কোনও আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে পাস নিতে হয়। জুহি ও চন্দনার নামে সেই পাস তৈরি হয়েছিল। কোন কোন দফতরের আমলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে সিআইডি।
কেন্দ্রীয় আমলাদের সঙ্গে দেখা করার কথা স্বীকার করেছেন জুহির আইনজীবী অখিল বিশ্বাসও। তিনি বলেন, ‘‘চন্দনাদেবী জুহির কাছে নালিশ করে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার তাঁকে ফাঁসাতে চাইছে। সরল বিশ্বাসে জুহি চন্দনার অভিযোগ জানাতে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল। তবে এর বেশি কিছু জুহি জানে না।’’
এ দিকে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হলে চন্দনা চক্রবর্তী সহ তিন জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত এবং মৃণাল ঘোষ এবং দেবাশিস চন্দকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
চন্দনার জলপাইগুড়ির চার নম্বর ঘুমটির বাড়ি থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে সিআইডি। তাদের দাবি, সেই ডায়েরিতেও একাধিক কেন্দ্রীয় আমলা এবং রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীর অফিস এবং বাড়ির নম্বর লেখা রয়েছে। কবে কোথায় কার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তার দিনক্ষণও উল্লেখ রয়েছে। সিআইডি জানিয়েছে, যাদের নাম তদন্তে উঠে আসছে তাঁদের সকলকে জেরা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy