চন্দনা চক্রবর্তীর হোম থেকে খোঁজ পাওয়া ১৪টি শিশুর কী হবে—সেই প্রশ্নই খুঁজছে সিআইডি। সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে৷ সরকারই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে৷
২০১৫ সালের অগস্টে জলপাইগুড়ি সিডব্লুউসি-র নতুন কমিটি গঠন হয়৷ দায়িত্ব নেওয়ার পরই চন্দনার হোম বিমলা শিশু গৃহ নিয়ে অনিয়ম কমিটির সদস্যদের নজরে আসে৷ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কমিটির সদস্য সুবোধ ভট্টাচার্য ১৭টি শিশুর দত্তকের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগটি প্রশাসনের সামনে আনেন৷ ওই বছরই জুন মাসে সুবোধবাবু সহ সিডব্লুউসি-র চার সদস্য ফের প্রশাসনের কাছে অভিযোগ পাঠান৷
শেষ পর্যন্ত গত ডিসেম্বর মাসে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরুও করে জেলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন৷ কিন্তু এরই মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে কারা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি৷ ১৮ ফেব্রুয়ারি চন্দনা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে সিআইডি৷ তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় চন্দনার সংস্থায় কাজ করা সোনালী মণ্ডলকে৷ তারপর থেকেই সিআইডির জালে একে একে আসতে শুরু করে চন্দনার ভাই মানস ভৌমিক, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী জুহি চৌধুরী, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং-এর দুই ডিসিপিও সস্মিতা ও মৃণাল ঘোষ এবং দার্জিলিং সিডব্লুউসি-র সদস্য দেবাশিস চন্দ৷
তবে এ সবের আগে গত জানুয়ারি মাসেই চন্দনার হোম বিমলা শিশুগৃহ বন্ধ হয়ে যায়৷ সেখানে থাকা শিশুদের কোচবিহার ও দুই দিনাজপুরের হোমে পাঠানো হয়৷ চন্দনা গ্রেফতার হওয়ার পর তার সংস্থার অধীনে থাকা আশ্রয় হোমটিও বন্ধ করে দেয় প্রশাসন৷ সেখানেও বেশ কিছু অনিয়ম নজরে আসে প্রশাসনের৷
সিআইডি কর্তাদের একাংশের দাবি, তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন, প্রসবের পর আশ্রয় হোমে থাকা কুমারী মায়েদের সন্তানদের বিমলা শিশুগৃহে নিয়ে যাওয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রেই সেখানকার রেজিস্ট্রারে তাদের উল্লেখ করা হয়নি৷
তবে এরই মধ্যে সিআইডির অফিসারেরা জানতে পেরেছেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে দিয়ে দেওয়ার কথা বলেও চন্দনা অন্যত্র দিয়ে দিয়েছেন৷ এখনও পর্যন্ত এমন চোদ্দোটি শিশুর সন্ধান পেয়েছে সিআইডি৷ কিন্তু সেই শিশুগুলির ক্ষেত্রে কী হবে, তা জানতেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রের খবর৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy