Advertisement
E-Paper

পাচার মামলায় ডাক্তারকে জেরা

শিশু বিক্রি কাণ্ডে এ বার চিকিৎসকদের তলব করতে শুরু করল সিআইডি। সোমবার চিকিৎসক দেবাশিস চন্দকে জেরা করেছে সিআইডি। দেবাশিসবাবু দার্জিলিং জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৮

শিশু বিক্রি কাণ্ডে এ বার চিকিৎসকদের তলব করতে শুরু করল সিআইডি। সোমবার চিকিৎসক দেবাশিস চন্দকে জেরা করেছে সিআইডি। দেবাশিসবাবু দার্জিলিং জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্য। তবে তাঁকে কেন জেরা করা হচ্ছে সে বিষয়ে সিআইডি কিছু জানায়নি। দেবাশিসবাবুও সংবাদমাধ্যমে কিছু জানাতে চাননি।

শিশু বিক্রির অভিযোগে ধৃত জলপাইগুড়ি হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তীকে জেরা করে বেশ কিছু নাম সিআইডি পেয়েছে বলে দাবি করেছে। তাঁর মধ্যে সরকারি আধিকারিক থেকে চিকিৎসক, সমাজকর্মী এবং নেতা-নেত্রীরাও রয়েছেন। তাঁদের সকলের ভূমিকাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিআইডি দাবি করেছে। এ দিন সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির দুই সমাজকর্মীর সঙ্গে দেখা করেও নথি জোগাড় করেছেন সিআইডির আধিকারিকরা। সিআইডি জানতে পেরেছে, লাইসেন্স পাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬০ জন শিশুকে দত্তক দিয়েছে ধৃত চন্দনা চক্রবর্তীর সংস্থা। তার মধ্যে অন্তত ২০টি শিশুর দত্তকের নথিতে অনিয়ম রয়েছে বলে দাবি। সিআইডির অভিযোগ, ভুয়ো নথি তৈরি করে ওই দত্তক হয়েছে। লেনদেন হয়েছে মোটা টাকা।

অন্যদিকে, এখনও চন্দনার হোমে দত্তকের প্রায় ২৩টি আবেদন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের জেলা জজের এজলাসে রয়েছে। সেই আবেদনগুলি যাচাই করে দেখা হতে পারে। প্রশাসন সূত্রের খবর, হোম থেকে এখনও পর্যন্ত দত্তকের সব নথি ফের খতিয়ে দেখতে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

জলপাইগুড়ির হোমে শিশু বিক্রি কাণ্ডে পাশের জেলার শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্যকে কেন জেরা করা হচ্ছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসক দেবাশিসবাবু জলপাইগুড়ির হোমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিআইডির একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ওই চিকিৎসক অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ দিন দেবাশিসবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে সিআইডির জেরা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এখনও কাজ চলছে।’’

চন্দনা চক্রবর্তী এবং হোমের আরেক কর্মীকে গ্রেফতারের ৯ দিন পর তদন্তকারীদের দাবি এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে জেরা করা হয়েছে। কয়েকজনের উত্তরে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। কী ভাবে শিশু বিক্রি হয়েছে সেই প্রক্রিয়ার আগাগোড়া জানার চেষ্টা চলছে। সিআইডির দাবি, সরকারি পদে থাকা কয়েকজনকে জেরা না করলে তা সম্পূর্ণ হবে না। জেরার অনুমতির জন্য চলতি সপ্তাহে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করবে সিআইডি।

CID Infant Trafficking Case Investigation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy