শহরে হাতেগোনা কয়েকটি প্রধান রাস্তা। আর ৪৭টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার অজস্র সরু অলিগলি। সেখানে লাগামছাড়া চলাচল রিকশা, টোটো, অটো, স্কুলবাস, ছোট গাড়ির। যোগ হয়েছে বেপরোয়া বাইকের দৌরাত্ম্যও। নানা গাড়ির দাপটে রাতদিন তাই নাভিশ্বাস উঠছে শিলিগুড়িবাসীর।
অভিযোগ, পুলিশের নজরদারি কেবলমাত্র হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, বধর্মান রোড, বিধান রোড বা স্টেশন ফিডার রোডের মোড়ে। তাও সেখানে আবার ট্রাফিক পুলিশের থেকে বেশি সক্রিয় সিভিক ভলান্টিয়ররা।
কোথাও না কোথাও রোজই ঘটছে পথ দুঘর্টনা। কেউ হতাহত না হলে তা রেকর্ড হচ্ছে না পুলিশের খাতায়। কার্যকরী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। এভাবে আর কতদিন? প্রশ্ন শহরবাসীর।
তাই অধ্যাপক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, চিকিৎসক, আইন পরিষেবা সমিতির কর্তা, নাট্যব্যক্তিত্ব, সবাই একজোট হয়ে ‘পথ নিরাপত্তা’র দাবিতে ডাক দিলেন গণ কনভেনশনের। অরাজনৈতিক কোনও মঞ্চও নয়, এখানে একসঙ্গে সবাই মিলে শহরকে পাল্টানোর চেষ্টা শুরু করবেন তাঁরা।
অনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের ধাক্কায় পথচলতি মানুষের অবস্থা কতটা সঙ্গীন তা বোঝাতে আজ কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই কনভেনশনে মাথায় হেলমেট পরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষে পার্থ চৌধুরী জানান, এখান থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হবে পুলিশ কমিশনার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এবং মেয়রের কাছে। প্রয়োজনে আরও একধাপ এগিয়ে শহরের পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের পথেও হাঁটবেন ওই নাগরিকেরা।
নাট্য ব্যক্তিত্ব পার্থ চৌধুরী ও অধ্যাপক অজিত কুমার রায় বললেন, ‘‘গত ৪ জুন অভয় দত্ত নামের আমাদের পরিচিত এক সমাজকর্মী বাইকের ধাক্কায় আহত হয়ে মারা যান। তাঁর স্মরণসভাতেই এইভাবে এগোনোর রাস্তা ঠিক করি। রাজনীতি নয়, শিলিগুড়ি শহরের পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চাই আমরা। দেখা যাক, আমরা একসঙ্গে কতটা এগোতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy