আর জি কর কাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত সমস্ত দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ফের আন্দোলনে নামল অভয়া মঞ্চ। রবিবার মঞ্চের তরফে নিহত তরুণী চিকিৎসকের জন্মদিনে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের হাসপাতাল মোড়ে ‘জন্মদিনে মৃত্যঋণ’ নামে প্রতিবাদী পথসভার আয়োজন করা হয়। পরে শহরের নানা এলাকায় পদযাত্রা হয়েছে। আর জি-কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহেও কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ দিন রায়গঞ্জে ওই পথসভায় চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষিকা, সরকারি কর্মী-সহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন শামিল হন। আন্দোলনকারীদের তরফে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের চিকিৎসক-শিক্ষক বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আদালত এক জনকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিলেও রায়ে অভয়ার মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। সিবিআই তদন্ত নিয়েও রায়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাই, যত দিন না অভয়া বিচার পাচ্ছেন, তত দিন আমরা রাস্তায় থাকব।” আর এক আন্দোলনকারী ঝুমা মিত্রের কথায়, “অভয়াকে ধর্ষণ ও খুনের পিছনে আরও যারা রয়েছে, তাদের শাস্তির দাবিতে আমাদের প্রতিবাদ।” আরজি-কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে এ দিন ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদসভা করেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিহত তরুণীর ৩২ বছর পূর্ণ হওয়ায় এ দিন পথচারীদের মধ্যে ৩২টি গাঁদাফুলের চারাও বিলি করা হয়।
আর জি-কর কাণ্ডের ছ’মাস পরেও বিচার না পাওয়ার দাবি করে মৌনী মিছিল হয় বালুরঘাটে। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস বালুরঘাট’– এর উদ্যোগে আন্দোলনকারীরা থানা মোড় থেকে মশাল সামনে রেখে শহরে মিছিল করেন। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মিছিলে মাইক ব্যবহার করা হয়নি। সংগঠনের তরফে চিকিৎসক সৌরভ কুন্ডু বলেন, ‘‘বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’ মিছিল শেষে থানা মোড়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহত চিকিৎসককে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আর জি-কর কাণ্ডে ‘প্রহসন নয়, বিচার চাই। সব অপরাধীর শাস্তি চাই’ স্লোগান দিয়ে ইংরেজবাজারে মৌনী মিছিল করেন ‘রাত দখল’-এর আন্দোলনকারীরা। ফোয়ারা মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিজি রোড, গৌড় রোড, কেজে স্যান্যাল রোড, রাজমহল রোড হয়ে ফের ফোয়ারা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে কালো পতাকা নিয়ে হেঁটে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ পাল, শান্তশ্রী মজুমদার ও জয়ন্ত সেন
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)