Advertisement
E-Paper

নমাজের পরেই ত্রাণ সংগ্রহ কেরলের জন্য

যার যা সামর্থ্য। কেউ দিলেন ৫০ টাকা। কেউ দিলেন ১০০ টাকা। কেউ দিলেন পাঁচশোও। সব মিলিয়ে তিনটি মসজিদ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো উঠেছে। ওই টাকা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৮ ০৭:৫০
মানবিক: ইদের নমাজ শেষে দিনহাটার নজিরহাটে নজিরহাট ব্লক মসজিদ ও ইদগাহ কমিটির পক্ষ থেকে বন্যাবিধ্বস্ত কেরলের মানুষদের জন্য সাহায্য তোলা হচ্ছে। বুধবার। ছবি: সুমন মণ্ডল

মানবিক: ইদের নমাজ শেষে দিনহাটার নজিরহাটে নজিরহাট ব্লক মসজিদ ও ইদগাহ কমিটির পক্ষ থেকে বন্যাবিধ্বস্ত কেরলের মানুষদের জন্য সাহায্য তোলা হচ্ছে। বুধবার। ছবি: সুমন মণ্ডল

কারও ছেলে থাকেন। কারও স্বামী। তাই কেরলের বন্যা কোচবিহারের বহু মানুষের ঘরেও প্রভাব ফেলেছে। বুধবার ইদের নমাজের পর কোচবিহারের একাধিক মসজিদে ঘরের মানুষ যাতে নিরাপদে থাকেন, তার জন্য প্রার্থনা করলেন বহু জন। আর সেই সঙ্গে কেরলে বন্যার্তদের ত্রাণ পাঠাতে দান করলেন।

যার যা সামর্থ্য। কেউ দিলেন ৫০ টাকা। কেউ দিলেন ১০০ টাকা। কেউ দিলেন পাঁচশোও। সব মিলিয়ে তিনটি মসজিদ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো উঠেছে। ওই টাকা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সুকটাবাড়ির মারকাজ মসজিদে হাজার পাঁচেকের উপরে মানুষ যোগ দেন নমাজে। প্রত্যেকেই তাঁদের সামর্থ্য হিসেবে কিছু টাকা কেরলের জন্য দেন। দশ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা কাউসার আলি ব্যাপারি বলেন, “বেশিরভাগ গরিব মানুষ। এর মধ্যেও এ দিন প্রত্যেকেই কম বেশি দান করেন। সেই দান এ বারে সবাই কেরালায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উদ্দেশে দিয়েছেন।”

সীমান্ত গ্রাম নাজিরহাট ব্লক মসজিদে নমাজেও ওই উদ্যোগে হাত বাড়ালেন বহু জন। সেখান থেকে পাঁচ হাজার টাকা তোলা হয়। ওই টাকা ইতিমধ্যেই কেরলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মসজিদ কমিটির পক্ষে আব্দুর রউফ বলেন, “সবাই মিলে এই সময় কেরলের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। তাই আমাদের এই ছোট্ট চেষ্টা।’’

একই ভাবে সাবেক ছিটমহল মশালডাঙার মানুষও নমাজের ত্রাণ সংগ্রহে নামেন। তাঁরাও তিন হাজার টাকা তোলেন। ওই এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন, “কুরবানি করা পশুর চামড়া বিক্রি করে যে অর্থ আয় হবে, সেই টাকাও ত্রাণের জন্য পাঠানো হবে। সবাইকে সামিল হওয়ার আবেদন জানিয়েছি।”

কেরলে এ বারে ভয়াবহ বন্যায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘর-বাড়ি হারিয়ে হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোচবিহারের বহু মানুষ কাজের সূত্রে কেরলে থাকেন। তাঁদের অনেকেই এখন নিখোঁজ। কেরালায় থাকা কোচবিহারের জামালদহের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়। তাঁর দেহ এ দিনই বাড়িতে আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে কোচবিহারের মানুষকে ওই ঘটনা ব্যাপক ভাবে নাড়া দিয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যাত্রাণে ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ থেকে সবাই ত্রাণ পাঠাচ্ছেন। আমরা ওই মানুষদের পাশে আছি।”

Kerala Flood Relief Fund Eid Namaz
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy