কারও ছেলে থাকেন। কারও স্বামী। তাই কেরলের বন্যা কোচবিহারের বহু মানুষের ঘরেও প্রভাব ফেলেছে। বুধবার ইদের নমাজের পর কোচবিহারের একাধিক মসজিদে ঘরের মানুষ যাতে নিরাপদে থাকেন, তার জন্য প্রার্থনা করলেন বহু জন। আর সেই সঙ্গে কেরলে বন্যার্তদের ত্রাণ পাঠাতে দান করলেন।
যার যা সামর্থ্য। কেউ দিলেন ৫০ টাকা। কেউ দিলেন ১০০ টাকা। কেউ দিলেন পাঁচশোও। সব মিলিয়ে তিনটি মসজিদ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো উঠেছে। ওই টাকা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সুকটাবাড়ির মারকাজ মসজিদে হাজার পাঁচেকের উপরে মানুষ যোগ দেন নমাজে। প্রত্যেকেই তাঁদের সামর্থ্য হিসেবে কিছু টাকা কেরলের জন্য দেন। দশ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা কাউসার আলি ব্যাপারি বলেন, “বেশিরভাগ গরিব মানুষ। এর মধ্যেও এ দিন প্রত্যেকেই কম বেশি দান করেন। সেই দান এ বারে সবাই কেরালায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উদ্দেশে দিয়েছেন।”
সীমান্ত গ্রাম নাজিরহাট ব্লক মসজিদে নমাজেও ওই উদ্যোগে হাত বাড়ালেন বহু জন। সেখান থেকে পাঁচ হাজার টাকা তোলা হয়। ওই টাকা ইতিমধ্যেই কেরলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মসজিদ কমিটির পক্ষে আব্দুর রউফ বলেন, “সবাই মিলে এই সময় কেরলের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। তাই আমাদের এই ছোট্ট চেষ্টা।’’