ইফতারে হাজির দুই সম্প্রদায়ের মহিলারা। নিজস্ব চিত্র
দিনভর উপোসের পর রাতে ফলাহারের গণ-আয়োজন নিয়ে সকাল থেকেই গ্রামের হিন্দু ঘরের মায়েদের ব্যস্ততা ছিল অন্য দিনের চেয়ে একটু বেশি। বেলা ডুবল। আঁধার গাঢ় হতেই এলাকার রুনা বিবির বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির হলেন দুই সম্প্রদায়ের মা বোনেরা।
রুনার বাড়িতেই গ্রামের মুসলিম মা বোনেদের জন্য হিন্দু মা-বোনেরা আয়োজন করেছিলেন ইফতারের। মঙ্গলবার রাতে হিলি সীমান্তের পাঞ্জুল গ্রামের ঘটনা। ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে রমজান মাসের পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির আবহে শামিল হতে স্থানীয় পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি থেকে শাসকদলের নেত্রীরাও ওই মিলন উৎসবে যোগ দেন।
কল্পনা বর্মণ, সুমিতা মাহাতো, শেফালি দেবনাথেরা জয়া বিবি, মর্জিনা খাতুন, আনোয়ারা বিবিদের হাতে তুলে দেন ফল, মিস্টির প্যাকেট ও জলের বোতল। আনোয়ারা বলেন, ‘‘গ্রামে ওঁদের (হিন্দু) সমস্ত উৎসব অনুষ্ঠানে আমরা থাকি। আমাদের পরবেও সমান ভাবে ওরা থাকে।’’ সেই প্রবণতার ছোঁয়ায় ভেসে এ দিনের ইফতার পার্টিত উপস্থিত পাঞ্জুল গ্রামের অন্তত ৮২ জন মুসলিম মা বোনেরা খুবই খুশি বলে জানিয়েছেন।
এ দিন পঞ্চায়েত সদস্য অনিতা পাহান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভঙ্কর মাহাতো দু’জনেই বলেছেন, ‘‘দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আমরা ওই ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়ে আনন্দিত।’’ মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হানাহানি ও বিভেদের রাস্তা থেকে সরে উভয় ধর্মের মা বোনেরা সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল ছবি তুলে ধরেন।’’ এটাই এই রাজ্যের গ্রাম বাংলার ছবি, জানান প্রদীপ্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy