শিলিগুড়িতে ডেঙ্গিতে মৃতের পরিবারকে পুরসভার তরফে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে দাবি জানাল তৃণমূল। এই শহরে তৃণমূল বিরোধী আসনে। তাদের দাবি, ডেঙ্গিতে কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবারের এক জনকে কাজ দিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণার দাবি জানিয়ে শুক্রবার মেয়রকে স্মারকলিপি দিতে যান বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার। তবে মেয়র শহরের বাইরে থাকায় তাঁর হাতে দিতে পারেননি। মেয়রকে না পেয়ে পুর সচিবের দফতরে তা জমা করতে চাইলে তাঁকে জানানো হয়, মেয়রের স্মারকলিপি তাঁর দফতরেই দিতে। তিনি তখন মেয়রের দফতরে গিয়ে সেখানে তা জমা করেন। পরে পুর কমিশনারকেও তাঁরা স্মারকলিপি দেন। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওই মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। তবে ক্ষতিপূরণ দিতে হলে রাজ্যেরই দেওয়া উচিত। রাজ্যে ডেঙ্গিতে অনেকেই মারা গিয়েছেন। সরকারের তরফে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, তা আমরাও চাই। রাজ্য সরকারকে রঞ্জনবাবুরা তা জানান।’’ মেয়র জানান, মুখ্যমন্ত্রীই স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে। তাই তাঁদের তরফেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত বলে মেয়রের দাবি।
তবে গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা পুর এলাকায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে। দার্জিলিং জেলায় ১৪২ জন। শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘৩০ নভেম্বরের মধ্যে পুরসভার তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতে হবে। শহরে একজনের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের জন্য কি কলকাতা, দিল্লির কাছে দরকার করব? পুরসভাকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তা ছাড়া, মৃতের পরিবারের একজনকে কাজ দিতে হবে।’’ বিরোধী তৃণমূলের অভিযোগ, অমিত ছেত্রীর স্ত্রী, মা, এক দাদা এবং দুই বোন বাড়িতে রয়েছেন। তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতি ভাল নয়। অমিতের মৃত্যুতে ওই পরিবার আরও বিপাকে পড়েছে। বিরোধী দলনেতার ক্ষোভ, ‘‘মেয়ের দিল্লি, কলকাতা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামলাতে পুরসভার উদাসীনতার জন্যই এই ঘটনা।’’ বুধবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিলিগুড়ির খুদিরামপল্লির বাসিন্দা অমিত ছেত্রী। হেমারেজিক ডেঙ্গিতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসকেরা ত্যুর শংসাপত্রেও জানান। এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাসও বলেন, ‘‘রিপোর্ট হাতে এসেছে। অমিত ডেঙ্গিতেই মারা গিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy