E-Paper

মহিলা প্রধানকে মারধরে অভিযুক্ত শাসক নেতা

পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়েছিল চার লক্ষ টাকা। তার ৫০ শতাংশই নাকি ‘কাটমানি’ হিসেবে চান অশোকগ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি হরি বসু এবং তাঁর দলবল।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:২৫
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সরকারি কাজের টেন্ডারে ‘কাটমানি’ না দেওয়ায় তৃণমূল মহিলা প্রধানকে পঞ্চায়েত অফিসে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দলেরই অঞ্চল সভাপতি এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। সোমবার দুপুরে গঙ্গারামপুর ব্লকের অশোকগ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ নম্বর অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ মহিলা প্রধান বুলি মুর্মুর। তাঁর দাবি, গঙ্গারামপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে থানার আধিকারিকেরা নাকি তাঁকে বিষয়টি নিয়ে সালিসি করে মিটিয়ে নিতে বলেন। মঙ্গলবার তিনি জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তলের কাছে ’বাধ্য হয়ে’ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান। বুলির দাবি, তাঁকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।

পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়েছিল চার লক্ষ টাকা। তার ৫০ শতাংশই নাকি ‘কাটমানি’ হিসেবে চান অশোকগ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি হরি বসু এবং তাঁর দলবল। মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপার দফতরে এসে বুলি অভিযোগ করেন, ওই টাকা না দেওয়ার জন্যই তাঁকে আটকে মারধর করা হয়। কেন পুলিশ সুপার দফতরে এসে অভিযোগ জমা করতে হচ্ছে? বুলি বলেন, ‘‘গঙ্গারামপুর থানায় গিয়েছিলাম। ওখানে অফিসার বলেন, আজকে ব্যস্ত আছি। কাল দেখছি। আপনি বিষয়টি বরং বসে (সালিশি) মিটিয়ে নিন।’’ অশোকগ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি হরি বসু বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। প্রধানের এক জন পুরুষ ছায়াসঙ্গী সব বৈঠকে ঢুকে পড়ছেন, সব বিষয়ে মতামত দিচ্ছেন। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানকে মারধর করা হয়নি।’’ তাঁর দাবি, কোনও ‘কাটমানির’ও বিষয় নেই। গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর সরকারও একই দাবি করেন। জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তোরাফ হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নেব।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে দেখতে বলেছি। দল বিষয়টিতে রিপোর্ট নিচ্ছে।’’ কেনই বা এক জন মহিলাকে মারধরের অভিযোগ নিল না পুলিশ? কেনই বা মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও মামলা রুজু করা গেল না? জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তলকে এ ব্যাপারে ফোন এবং ওয়াটস অ্যাপ করেও, কোনও জবাব মেলেনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

gangarampur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy