ভেঙেছে পায়ের উরুর হাড়। অথচ অভিযোগ, চিকিৎসক প্লাস্টার করেছেন তার নীচের অংশে। সে কারণেই আঘাত লাগার ৪৫ দিন পরেও বছর চারেকের মেয়ে অনু ছেত্রীর পা সারছে না বলে দাবি করল তার পরিবার।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ তাপসকুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বুধবার সুপারের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। তাঁদের দাবি, ভাঙা হাড় জোড়া লাগেনি। মাঝেমধ্যেই ব্যাথায় ককিঁয়ে উঠছে অনু। অভিযুক্ত তাপসবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘শিশুটির ডান পায়ের উরুর হাড় ভেঙেছে। আরও উপর থেকে প্লাস্টার করলে নড়াচড়া করতে কষ্ট হত। হাড় আস্তে আস্তে জোড়া লাগছে। আর তিন সপ্তাহ পরে প্লাস্টার কেটে দেওয়া হবে।’’
অনুর বাবা গোবিন্দবাবু সামান্য দিনমজুর। তাঁরা দক্ষিণ ওদলাবাড়ির বাসিন্দা। তিনি জানান, ডিসেম্বরে নেপালে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে বাথরুমে পড়ে গিয়ে অনুর উরুর হাড় ভেঙে যায়। স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখালে তিনি হাসপাতালে দেখাতে বলেন। ওই দিনই রওনা হয়ে মেয়েকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে দেখান তাঁরা। তাপসবাবুই মেয়েকে দেখেন বলে অভিযোগ। প্লাস্টার করে দেওয়ার ২১ দিন পরে দেখাতে গেলে চিকিৎসক তাঁদের এক বছর বাদে আসতে বলেন বলে অভিযোগ। তাপসবাবু যদিও তা অস্বীকার করেছেন।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ভাঙা অংশ সারছে না দেখে মঙ্গলবার তাঁরা মালবাজার হাসপতালে দেখান। সেখানকার চিকিৎসকই এক্সরে করে জানান, যেখানে ভেঙেছে সেই অংশে প্লাস্টার করা হয়নি। তাই সমস্যা হচ্ছে।
এ দিন সে কথা জানাতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখাতে গেলে চিকিৎসক তাপসবাবু তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন বলে অভিযোগ। পরে তিনি আবার জানান, আরও তিন সপ্তাহ পরে আসতে। তার মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘ছুটিতে রয়েছি। যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তাঁকে বিষয়টি দেখতে বলছি।’’
ভারপ্রাপ্ত সুপার অমিত দত্ত জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের ব্যবহার নিয়েও এ দিন অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy