Advertisement
E-Paper

ছেলেদের বিবাদ, কবর খুঁড়ে তোলা হল বাবার দেহ

দুই ছেলের সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মৃত্যুর ১৩ দিন বাদে কবর থেকে তোলা হল বাবার মৃতদেহ। শুক্রবার দুপুরে ইংরেজবাজার থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে সইফুদ্দিন সরকারের মৃতদেহ তুলল পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যালে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০৩

দুই ছেলের সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মৃত্যুর ১৩ দিন বাদে কবর থেকে তোলা হল বাবার মৃতদেহ। শুক্রবার দুপুরে ইংরেজবাজার থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে সইফুদ্দিন সরকারের মৃতদেহ তুলল পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যালে।

গত ১৮ মার্চ মৃত্যু হয় কেন্দ্রীয় সরকারের এনএইচপিসি দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সইফুদ্দিন সরকারের। সইফুদ্দিনের দু’টি বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রী দুই ছেলে নিয়ে বামনগোলার পাকুয়ায় থাকেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী তেহমিনা বিবি দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরে থাকেন। সইফুদ্দিন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তেহমিনার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। এমনকী, তাঁর সমস্ত সম্পত্তি তাঁদের নামেই করে দেন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সইফুদ্দিন ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি জমি বিক্রি করেন।

এরপরে ১৮ মার্চ প্রথম পক্ষের ছেলে আকবার সরকার লক্ষ্মীপুরে এসে সইফুদ্দিনের কাছে লক্ষাধিক টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজিও হন তিনি। কিন্তু ওই দিন রাতে সইফুদ্দিনের মৃত্যু হয়। আকবরের দাবি, ‘‘বাবা আমাকে টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন, সেই জন্য দ্বিতীয় পক্ষের ভাই ইমরান আলি বাবাকে খুন করেছে।’’ এমনকী, খুনের ঘটনা ঢাকতে মৃতদেহ ময়না তদন্তে না পাঠিয়ে কবর দেওয়া হয়েছে। তাই বুধবার ইংরেজবাজার থানার ইমরানের নামে বাবাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

তবে কেন মৃত্যুর ১১ দিন বাদে অভিযোগ করলেন থানায়? এই প্রশ্নের উত্তরে আকবার জানান, ‘‘বাবার মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে, স্পষ্ট করে কিছুই বলা হচ্ছিল না। তাঁদের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। তাই অভিযোগ করতে সময় গড়িয়ে যায়।’’

যদিও ইমরান দাবি করেন, ‘‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। তাই আমরা সকলের উপস্থিতি মৃতদেহ ময়না তদন্তে না করে কবর দিয়ে দিয়েছিলাম।’’ তাঁর দাবি, প্রথম দিকে কোন প্রতিবাদও করা হয়নি। এখন তাঁদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হবে।’’

Conflict Son Grave
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy