Advertisement
E-Paper

মেয়রের কাজে নারাজ পুরকর্মী

ট্রেড লাইসেন্স ইন্সপেক্টরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মেয়রের কাছে ক্ষোভ জানালেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পারিষদ কমল অগ্রবাল। বৃহস্পতিবার একটি ট্রেড লাইসেন্স করাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:০০

ট্রেড লাইসেন্স ইন্সপেক্টরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মেয়রের কাছে ক্ষোভ জানালেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পারিষদ কমল অগ্রবাল। বৃহস্পতিবার একটি ট্রেড লাইসেন্স করাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মেয়রের কথা মতো ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ কমলবাবু এ দিন একটি ফাইল পাঠালে তা দফতরের ওই আধিকারিক তাতে সই করে ফেরত পাঠাতে চাননি। তিনি সিটুর পুর-কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক জীবন নাথ। এমনকী, মেয়র পারিষদ বারবার অনুরোধ করলেও তিনি সই করবেন না বলে জানিয়ে দেন। ক্ষুব্ধ কমল মেয়রকে জানিয়ে দেন, ওই আধিকারিক থাকলে তিনি দফতরে যাবেন না।

পরে মেয়র ওই কর্মীকে সতর্ক করেছেন। কমল বলেন, ‘‘যা জানানোর মেয়রকে বলেছি। এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’

মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ‘বিষয়টি তেমন কিছু নয়’ বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘কাজ করতে গেলে কিছু কথা কাটাকাটি হয়। তবে বাসিন্দারা হেনস্থা হলে তার দায় পুরকর্মী, আধিকারিকদের
নিতেই হবে।’’

পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের ইন্সপেক্টর জীবন কেন মেয়রের অনুরোধের বিষয়টি জানানোর পরেও কাজটি করতে চাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জীবন বলেন, ‘‘কাজ করব না, কখনওই বলা হয়নি। দফতরে এক কর্মী খেতে গিয়েছিল বলে একটু দেরি হবে বলেছিলাম। মেয়রও পরে জানিয়েছিলেন, তিনিই ওই কাজটি করার জন্য পাঠিয়েছেন। তা করেও দেওয়া হয়েছে।’’

সিটুর নেতা হওয়ার সুবাদে জীবন ওই বিভাগে ছড়ি ঘোরান বলে বিরোধী তৃণমূল এবং কংগ্রেসের একাংশ কাউন্সিলরে অভিযোগ। কমলবাবুর ঘনিষ্ঠমহল মনে করছে, মেয়র পারিষদের কথা যদি কোনও আধিকারিক না শুনতে চান তা হলে তাঁর সম্মান নিয়েই তো প্রশ্ন উঠবে। এটা কখনই কাম্য নয়। পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ বরো থেকেই যাতে হয়, পুরসভা তা করতে উদ্যোগী।

Conflict Trade license Ashok Bhattacharya Siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy