মিছিল: তখনও উপস্থিত রবীন্দ্রনাথ। নিজস্ব চিত্র
কোচবিহারে থাকলে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নেতৃত্বেই তৃণমূল করতে হবে— সোমবার এই ভাষায় দলের মধ্যে রবির বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন তুফানগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সামিউল ইসলাম।
আগামী ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ। তার প্রস্তুতি হিসেবে এ দিন তুফানগঞ্জে মিছিল করে তৃণমূল। তার পরে সভা। মিছিলের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কিছুক্ষণ উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি চলে যান। তবে তাঁর ছেলে পঙ্কজ ঘোষ-সহ বেশ কয়েক জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল শেষ হয় তুফানগঞ্জে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে। তার পরে সভা হয়। সেখানেই সামিউল ইসলাম বলেন, কোচবিহারে তৃণমূল করতে গেলে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নেতৃত্বে তা করতে হবে।
কোচবিহারে এর মধ্যেই দ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। এক দিকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ তো অন্য দিকে সাংসদ তথা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে যুব ও মূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রচুর রক্ত ঝরেছে। সম্প্রতি যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলায় এসে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে যান, মূলই আসল। যুবকে মূল আঁকড়েই থাকতে হবে। তার পরে রবিপন্থী নেতার এমন হুঁশিয়ারিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।
সামিউলের এই বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও এ দিন আলোচনা হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে কেউ খুব বেশি কিছু বলতে চাননি। পার্থপ্রতিম রায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ সব কথা যাঁরা বলেছেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত মত হতে পারে। তবে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি-আদর্শ নিয়ে তৃণমূল করি। যুব সম্প্রদায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চলি। তা ছাড়া কোচবিহার জেলার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ আমরা সকলে একটি পরিবারের মতো।’’
কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি মালতী রাভা বলেন, ‘‘ওদের দলীয় অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়াও যুব তৃণমূল ও মূল তৃণমূলের মধ্যে গন্ডগোল লেগেই আছে। তৃণমূলের যুবদের হুমকি প্রদর্শন দেওয়া হচ্ছে বলেই মনে হয়। আসলে তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে কোনও লাগাম নেই।’’
তৃণমূলের একটি অংশ মনে করছে, যুবদের নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। মালতীদেবীর কথাতেও সেটাই স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy