Advertisement
E-Paper

TMC: কংগ্রেস ছেড়ে শঙ্কর কি তৃণমূলে, জল্পনা

তৃণমূল সূত্রের খবর, আজ, বুধবার কলকাতা যাওয়ার কথা শঙ্করের। কলকাতায় যাবেন দলের উত্তরবঙ্গের নেতা গৌতম দেবও।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২১ ০৬:৫৯
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের আগেই দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক খোলনলচে পাল্টানো হতে পারে। দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলে যোগ দেওয়া মোটামুটি চূড়ান্ত দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও দুই বারের বিধায়ক শঙ্কর মালাকারের। তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতিও। বহুদিন ধরে এআইসিসি সদস্য। ১৫ জুলাই কলকাতায় তৃণমূল ভবনে তাঁর যোগদান হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ৬৭ বছরের শঙ্কর বেরিয়ে গেলে দলের সাংগঠনিক কী কী রদবদল হবে, তা নিয়ে দলে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, আজ, বুধবার কলকাতা যাওয়ার কথা শঙ্করের। কলকাতায় যাবেন দলের উত্তরবঙ্গের নেতা গৌতম দেবও। এক সময়কার সতীর্থ আবার একসঙ্গে কী করে কাজ করবেন তাই এখন ঠিক করা হচ্ছে বলে খবর। কংগ্রেস রাজনীতিতে গৌতম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে, আর শঙ্কর সৌমেন মিত্রের শিবিরে বরাবর ছিলেন। দু’জনের আলাদা দফতর, আলাদা কংগ্রেসের গোষ্ঠী রাজনীতি শহরে বহুচর্চিত। সেখানে শঙ্করের মতো নেতা যোগ দিলে তাঁকে কী পদে বসানো হবে তা নিয়ে তৃণমূলের জল্পনা তুঙ্গে। আপাতত খবর, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব গৌতম ও শঙ্করকে যৌথ ভাবে জেলা সংগঠনের মাথায় বসিয়ে দিতে পারেন।

শিলিগুড়ি শহর, পুরসভা দায়িত্ব গৌতমকে দিয়ে গ্রামীণ এলাকা, মহকুমা পরিষদের দায়িত্ব শঙ্করকে দেওয়া হতে পারে। একজন জেলা সভাপতির বদলে শহর ও গ্রামীণ দায়িত্ব ভাগ করা হতে পারে। আবার গৌতমকে জেলার চেয়ারম্যান শঙ্করকে সভাপতি করার মতো আলোচনাও দলে চলছে। একাংশ নেতা আবার মনে করেন, এখনই শঙ্করকে কোনও দলের দায়িত্ব না দিয়ে সরকারি কোনও কমিটি বা পদে বসানো হতে পারে। এতে দলের অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভ কিছু তৈরি হয়ে গেলে তা সামাল দেওয়া সুবিধা হবে। তবে পুরো সিদ্ধান্তই নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর।

২০১১ সালে তৃণমূলের সঙ্গে থেকেই মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক হন মালাকার। পরিবর্তনের সরকারের জোটসঙ্গী ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি সিপিএম-কংগ্রেসের জোটের প্রার্থী হয়েও জেতেন। এ বার তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন। দীর্ঘদিনের ডানপন্থী রাজনীতি করা শঙ্করের সঙ্গে কলকাতা ছাড়াও দিল্লির বিভিন্ন নেতানেত্রীদের ভাল যোগাযোগ। জেলা সভাপতি হিসাবে গ্রাম ও শহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ রয়েছে। তাই শাসক দলের তরফে তাঁকে শামিল করার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

শঙ্কর অবশ্য নিজে বলছেন, এখনও আমি কংগ্রেসেই আছি। বাকি কে কী বলল জানি না। আর গৌতম দেবের বক্তব্য, এসব রাজ্য নেতৃত্বের বিষয়।

TMC Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy