পুলিশি টহল। নিজস্ব চিত্র
রাত থেকেই লাগাতার গুলি ও বোমাবাজি। ১৪৪ ধারা জারি। রাস্তা কেটে অবরোধ। সকাল থেকে ধুন্ধুমার এই পরিস্থিতি। তার মধ্যেই চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল শাসক দল।
রবিবারর রাত থেকেই গোলমালের শুরু। সোমবার বোর্ড গঠনের আগে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হয় কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে গণনাকেন্দ্রে পুলিশ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ঢুকতে দেয়নি। এই পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে সবগুলোতেই অন্যায় ভাবে জিতেছে তৃণমূল। তা নিয়ে হাইকোর্টে আলাদা মামলা হয়েছে। সেই রায় না বেরনো পর্যন্ত কেন বোর্ড গঠন করা হচ্ছে, তা নিয়ে এ দিন ফের পুলিশের সঙ্গে গোলমাল বাধে কংগ্রেস কর্মীদের।
অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্মীপুরে ঢুকতে বাধা দিতে রাস্তা কেটে দেয় কংগ্রেসের লোকজন। রাস্তা অবরোধও করা হয়। পুলিশ গেলে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে গন্ডগোল বাধে। বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে দেখে সরব হয় তৃণমূলও। দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি, গুলি চলে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে রবার বুলেট ছুড়তে হয়। জখম হন দুই পুলিশকর্মীও। পুলিশের উপর হামলার চালানো হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড রবার বুলেট ছুড়তে হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
গোলমালের জেরে রবিবার রাতেই প্রশাসনের তরফে পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড গড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে। শাসক দলকে বোর্ড গড়তে সাহায্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে কংগ্রেসের লোকজনের। পুলিশের গাড়ি ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বোমাবাজি শুরু হয় এবং গুলিও চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতে কয়েক রাউন্ড রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায়ের কথায়, ‘‘পুলিশ এলাকায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। নির্বাচনে শাসক দলকে গোলমাল করতে সাহায্য করেছে। বিরোধীদের গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। এখন বোর্ড গঠনের নাম করে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে।’’ তাঁর দাবি, রাতে বাড়ি বাড়ি ঢুকে পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে। মহিলাদেরও মারধর করেছে। চোপড়ার তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে কংগ্রেস। গতকাল পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত ঢুকতে দিচ্ছিল না তারা। আজ মাওবাদীদের মতো বিভিন্ন রাস্তা কেটে দিয়েছে। কেন গন্ডগোল করছে জানি না। ওদের কোনও সদস্যই তো জেতেনি।’’ এ দিন গোলমালের মধ্যেই লক্ষ্মীপুরের প্রধান হন আবদুল রজ্জাক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy