Advertisement
E-Paper

২৩ বছর পর হচ্ছে কনভেনশন কেন্দ্র

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৩ বছর ধরে পড়ে থাকা সরকারি জমিতে উত্তরবঙ্গের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার তৈরির কথা ঘোষণা করলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৭
শিলান্যাস: মন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র

শিলান্যাস: মন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৩ বছর ধরে পড়ে থাকা সরকারি জমিতে উত্তরবঙ্গের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার তৈরির কথা ঘোষণা করলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। একই সঙ্গে সেখানে বহুতল হোটেল, রেস্তোরাঁ, কফি-শপও তৈরি হবে। আগামী দু’বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা হবে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। রবিবার দুপুরে বাগডোগরার গোঁসাইপুরে প্রকল্পের জমির সীমানা কাজের শিলান্যাস হয়।

সরকারি সূত্রের খবর, গোটা প্রকল্পের খরচ প্রায় ৪০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে তিন একর জমির মালিকেরা বাকি জমিতে ঢোকার জন্য চওড়া রাস্তা ও পরিবার পিছু চাকরির দাবি তুলেছিলেন। বিগত সরকারের আমলে তা নিয়ে মামলা হলেও তা আদালতে টেকেনি। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় হাল ছেড়ে দিয়েছিল বাম সরকার। নতুন সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর পড়ে থাকা বিভিন্ন সরকারি জমির খোঁজ শুরু হয়। বছর খানেক আলোচনার পর সরকারি জমি দিয়েই ১২ ফুটের রাস্তা তৈরি করে দেওয়া শুরু হতেই জট কাটে।

পর্যটন মন্ত্রী গৌতমবাবু জানান, মানুষের সঙ্গে বারবার আলোচনা করাটা জরুরি। এখানে তাই করায় সমস্যা মিটে গিয়েছে। তিনি দাবি করেন, ‘‘এ বার যা হবে, তাতে এলাকার চেহারা আমূল পাল্টে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী বিমানবন্দর হয়ে কলকাতা ফেরার পথে দু’বার জমিটি দেখে প্রকল্পের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছেন।’’

এ দিন জমিদাতারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জমিদাতা গোপাল ঘোষ, গৌরাঙ্গ ঘোষ বা অবনী ঘোষেরা জানান, অনেক দাবি, মামলা করেছিলেন। তাই পরে সবাই মিলে এলাকার উন্নয়নের কথা ভেবে পিছিয়ে গিয়েছেন। দুই দশক আগেই ক্ষতিপূরণও নিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘‘হোটেল, রেস্তোরাঁ, কনভেনশন সেন্টার হলে তো কিছু কর্মসংস্থানও হবে।’’

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে বাগডোগরার দিতে যেতেই এশিয়ান হাইওয়ের পাশেই ওই ৩ একর জমি। ১৯৯৪ সালে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের মাধ্যমে তা পর্যটন দফতরের হাতে এসেছিল।

কিন্তু জমি মালিকদের সঙ্গে বোঝাপড়া শেষ না হওয়ায় কী প্রকল্প হবে, তাই ঠিক করা হয়নি। জমিটির সামনের এশিয়ান হাইওয়ে ছাড়াও উল্টো দিকে এয়ারপোর্ট অথারিটির আবাসন এবং আর একটি নতুন উপনগরীর কাজ চলছে।

মন্ত্রী জানান, উত্তরকন্যার নকশা দিল্লির যে সংস্থাটি তৈরি করেছিল, তারাই কাজ করছেন। ৩ হাজার আসনের কনভেনশন সেন্টারটি হবে। উত্তরবঙ্গে এমন সেন্টার নেই। সুদৃশ্য সীমানা পাঁচিল এবং জমি ঠিকঠাক করার জন্য ৯৫ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে।

Gautam Deb Convention center
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy