বাড়ির ছাদে ফল খাওয়া চলছে। — নিজস্ব চিত্র
লোকালয়ে ঢুকে পড়া একদল বাঁদরের তাণ্ডবে নাজেহাল কোচবিহার শহর লাগোয়া ঘুঘুমারির বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রায় দু’সপ্তাহ থেকে ঘুঘুমারি বাজার ও লাগোয়া এলাকায় অন্তত চারটি বাঁদর তান্ডব চালাচ্ছে। কখনও দোকান থেকে খাবারের প্যাকেট চুপিসাড়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কখনও আবার ফলের দোকান থেকে কলার কাঁদি।
বাসিন্দাদের বাড়িতেও মাঝেমধ্যে টিনের চাল বেয়ে বা ছাদে বসে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য বাঁদরের কামড় বা আঁচড়ে কেউ জখম হননি। তবে ঘটনার জেরে বাসিন্দাদের অনেকের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়াদের যাতায়াত নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকরা। ঘুঘুমারি ব্যবসায়ী সমিতি গৌতম দত্ত বলেন, “প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কয়েকটি বাঁদর অনেকের বাড়িতে, দোকানে ঢুকে নানা উপদ্রব করছে।’’ বন দফতরের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন তিনি।
বাঁদর বাহিনীর ‘অপারেশন’ চালানোর কথা বললেন বাসিন্দারা। এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, একটি বাঁদর নজরদারি চালাচ্ছে। অন্যটি সুযোগ বুঝে দোকানের সামনে ঝোলানো বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। উৎসাহী বাসিন্দাদের অনেকেই নিজেরা খাবার, ফল ছুঁড়ে দিচ্ছেন। তা দিয়েও ভোজ বসাচ্ছে বাঁদরকুল। কেউ ভেংচি কাটলে পাল্টা ভেংটি কাটছে তারা।
কোচবিহারের এডিএফও দেবরাজ শূর বলেন, “কিছুদিন আগে দিনহাটা ও পুন্ডিবাড়ি থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়া দু’টি বাঁদর ধরা হয়। কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ি লাগোয়া এলাকাতেও খাঁচা পাতা হয়েছিল।’’ তবে সেখান থেকে কোনও বাঁদর ধরা পড়েনি। সেই বাঁদরগুলিই ওই এলাকায় ঢুকেছে না নতুন কোনও দল এসেছে তা জানা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে খাঁচা বসান হবে বলেও জানান তিনি। কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ি থেকে বিশ্বসিংহ রোড লাগোয়া এলাকায় কয়েকটি বাঁদর জুলাই মাসে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিল। বাসিন্দাদের বাড়ি ঢুকে কুমড়ো, কাঁঠাল সাবাড় করে দিচ্ছিল তারা। তার কিছুদিন আগে শহরের নতুন বাজার এলাকায় বাঁদরের কামড়ে বেশ কয়েকজন জখমও হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy