Advertisement
E-Paper

Coochbehar Medical College: কোচবিহারে জীবিত শিশুকে মৃত বলে পরিবারকে দেওয়ার অভিযোগ, চাঞ্চল্য মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে

শিশুকে মাটি চাপা দিতে গিয়ে জীবিত দেখে ফের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২১ ১৭:৫৯
হাসপাতালের গাফিলতিতে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ

হাসপাতালের গাফিলতিতে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ নিজস্ব চিত্র।

জীবিত শিশুকে মৃত বলে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। শিশুকে মাটি চাপা দিতে গিয়ে জীবিত দেখে ফের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।

শিশুর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকের সিদ্ধেশ্বরী এলাকার বাসিন্দা রাজু হাজরার স্ত্রী বীথিকা রায়ের প্রসব বেদনা হওয়ায় তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। রাতেই বীথিকার একটি পুত্র সন্তান হয়। চিকিৎসকরা তাঁর পরিবারকে জানান জন্মের আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির মৃতদেহ নিয়ে যেতে বলা হয় পরিবারের সদস্যদের।

বীথিকার পরিবার জানিয়েছে, রাতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় মঙ্গলবার সকালে তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে মাটি চাপা দিতে যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন শিশুটি নড়াচড়া করছে। তার নিঃশ্বাস পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে ফের মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।

বীথিকার স্বামী রাজু বলেন, ‘‘সোমবার রাতেই মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় জন্মের সময় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু শিশুটিকে মাটি চাপা দিতে গিয়ে আমরা দেখি সে নড়াচড়া করছে। শিশুটিকে ফের মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসলে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়। আমাদের জানানো হয় যে ভুল করে অন্যের শিশু দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ বাদে আমাদের জানানো হয় শিশুটি মারা গিয়েছে। চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। যদি সোমবার রাতে শিশুটির সঠিক চিকিৎসা হত তা হলে শিশুটির হয়তো মৃত্যু হত না। আমরা এই ঘটনার তদন্ত চাই।’’

যদিও এই প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত এমএসভিপি শ্যামাপ্রসাদ সাহা বলেন, ‘‘মৃত অবস্থায় শিশুটি প্রসব হয়েছিল। সোমবার রাতেই ওই শিশুর পরিবারকে মৃতদেহ দেখানো হয়েছিল। মঙ্গলবার ফের শিশুটিকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তার দেহ এসএনসিউতে রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা দেহটি নিতে চাইছে না। পরিবারের সদস্যরা যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’

Coochbehar Child death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy