Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in North Bengal

লকডাউন চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ২২ মার্চ থেকে লকডাউন শুরুর পরে শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জনের মধ্যে ছিল। মারা গিয়েছিলেন ২ জন। আনলক-পর্ব শুরু হতেই সংক্রমণ ১ হাজার ছুঁতে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ৫০ পার হয়ে গিয়েছে।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২০ ০৫:০৯
Share: Save:

শিলিগুড়িতে পূর্ণ লকডাউন জারি করতে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানালেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার ইস্টার্ন এবিসি চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ নিয়ে ই-মেল করা হয়। উত্তরবঙ্গের ১২১টি এবং শিলিগুড়ির ১৯টি সংগঠনের যৌথমঞ্চ ওই বণিক সংগঠন।

শিলিগুড়ি শহরকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে গত সপ্তাহে পূর্ণ লকডাউনের দাবিতে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছিল বণিকসভা। বিষয়টি জানানো হয় পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকেও। সংগঠনের বক্তব্য, গত কয়েক দিন প্রশাসনিক মহলে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলেও কোনও পদক্ষেপ না করায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।

বণিকসভার আহ্বায়ক সুরজিত পাল বলেন, ‘‘বলা হয় এই সরকার মা-মাটি-মানুষের সরকার। তা হলে তো মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মায়ের মতন। তাই তাঁর শিলিগুড়ির সন্তানদের প্রাণে বাঁচাতে ওই আবেদন জানিয়েছি। অন্তত দুই সপ্তাহ লকডাউন না হলে সংক্রমণের গতি থামানো যাবে না।’’ তাঁর কথায়, লোকসানের আশঙ্কা থাকলেও ব্যবসায়ীরা এটাই চান। শহরের ৯০ শতাংশ মানুষও পূর্ণ লকডাউন চাইছেন। তাই শিলিগুড়িতে ১৫ দিনের লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হোক।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ২২ মার্চ থেকে লকডাউন শুরুর পরে শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জনের মধ্যে ছিল। মারা গিয়েছিলেন ২ জন। আনলক-পর্ব শুরু হতেই সংক্রমণ ১ হাজার ছুঁতে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ৫০ পার হয়ে গিয়েছে।

বিধান মার্কেট থেকে শেঠশ্রীলাল মার্কেট, হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, নয়াবাজার, খালপাড়া, স্টেশন ফিডার রোড, দুই মাইল-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ওই সংগঠনের মাধ্যমে সেই দাবি তুলেছেন।

শহরের ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, ব্যবসার কথা ১০-১৫ দিন এখন ভাবতে হবে না। বাঁচার কথা ভাবতে হবে। কিন্তু লকডাউন না করা হলে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই বাজারহাট বন্ধ করে দিতে পারেন। সংগঠনের কয়েক জন সদস্যের বক্তব্য, ‘‘আমরা সবাই মিলে বাজার, ব্যবসা বন্ধ করে শহরে অনেকটা লকডাউনের মতো পরিস্থিতি করে দিতে পারি। কিন্তু তাতে পুরো কাজ হবে না। পরিবহণ, অফিস, ট্রেন, বিমান খোলা থাকবে। সে সব বন্ধ করতে গেলে লকডাউনের সিদ্ধান্ত সরকারের তরফে হওয়া প্রয়োজন।’’

প্রশাসনের তরফে অবশ্য এ নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হচ্ছে না। গৌতম জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সরকার দেখবে। একই কথা জানিয়েছেন এ জেলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। জেলাশাসক এস পুন্নবল্লম বলেছেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে ব্যবস্থা নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE