Advertisement
E-Paper

CPIM: পাশে চায় বামেরা, দোটানা কংগ্রেসে

আসন্ন পুরভোটে আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায় আলাদা আলাদা ভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম ও কংগ্রেস।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:২৮
নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ বামেদের।

নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ বামেদের। নিজস্ব চিত্র।

আসন্ন পুরভোটে আলিপুরদুয়ারে চারটি ও ফালাকাটায় আটটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেনি কংগ্রেস। আসন সমঝোতা না হলেও ওই ওয়ার্ডগুলিতে কংগ্রেসের থেকে সমর্থন চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বামেরা। তবে কংগ্রেস অবশ্য এই দুই পুরসভার ওই বারোটি আসনের সবকটিতে বামেদের সমর্থন করার ব্যাপারে এখনও দোটানায় রয়েছে। এ দিকে, তৃণমূল ছেড়ে আসা আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দীপক দে-র নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করলেও, তিনি মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় দলের অন্দরে প্রশ্নের মুখে পড়ছেন জেলার কংগ্রেস নেতারা।

আসন্ন পুরভোটে আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায় আলাদা আলাদা ভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে দেখা যায় কংগ্রেস ফালাকাটা পুরসভায় আঠারোটি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতে ও আলিপুরদুয়ার পুরসভায় কুড়িটি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টিতে প্রার্থী দিয়েছে। তবে বামেরা অবশ্য দুটি পুরসভার সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। উল্টে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম ও আরএসপি উভয় দলের প্রার্থীই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক কিশোর দাস বৃহস্পতিবার বলেছেন, “তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী শক্তিকেএককাট্টা করাই বামের ঘোষিত নীতি। তাই জেলার দুটো পুরসভার যে ক’টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারেনি, ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি হিসাবে সেখানে তাঁরা যাতে বাম প্রার্থীদের সমর্থন করেন, সেই বার্তা দেব।”

তবে কংগ্রেসের তরফে এ দিনই অবশ্য আলিপুরদুয়ার পুরসভার দুটি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করার কথা জানানো হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, “যে সব ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী নেই, সেখানে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে যিনি শক্তিশালী লড়াই দেবেন, আমরা তাঁকে সমর্থন করব। সেক্ষেত্রে কোনও ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীকেও আমরা সমর্থন করতে পারি, আবার কোনও ওয়ার্ডে বামপ্রার্থীকেও সমর্থন করতে পারি।”

কিন্তু ঘটা করে দলে যোগ দেওয়ানোর পাশাপাশি ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন চেয়ারম্যান দীপক দে-র নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হলেও, কেন তিনি মনোনয়ন জমা দিলেন না? শান্তনু বলেন, “শারীরিক অসুস্থার জন্যই তিনি শেষ পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াননি। তবে পুরভোটে কংগ্রেসের হয়ে তিনি কাজ করবেন।” দীপকেরও দাবি, শারীরিক অসুস্থতার জন্যই শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এ দিকে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম, না আরএসপি প্রার্থী বামফ্রন্টের হয়ে লড়াই করবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও অব্যাহত রয়েছে। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক এ দিন শুধু এতটুকুই বলেন, “ওই ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের একজন প্রার্থীই থাকবেন।” তবে তিনি কে হবেন, তা অবশ্য এদিন খোলাসা করেননি সিপিএম নেতারা।

WB Municipal Election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy