শাসক দলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান সিপিএমের সুবল বসাক। রবিবার সকালে গঙ্গারামপুর শহরের দত্তপাড়া এলাকায় তাঁকে তৃণমূলের ওই কর্মী রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন বলে থানায় অভিযোগ করেছেন সুবলবাবু। গঙ্গারামপুর পুরসভা ভোটে এবারে ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন সুবলবাবু। জেলা পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘হাস্যকর অভিযোগ।’’
এদিন সিপিএমের প্রার্থী তথা গঙ্গারামপুর পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান সুবলবাবু সকালে একাই এলাকায় বার হয়েছিলেন। সুবলবাবুর অভিযোগ, ‘‘সকাল ৮টা নাগাদ পাড়ার রাস্তার মোড়ে এক ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে সময় এক তৃণমূল কর্মী হুমকি দেয়। কলার ধরে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলে। সরে যেতে বলে। অভিযুক্তের পিছনে বাইক বাহিনীও ছিল।’’ সুবলবাবু ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাসের অভিযোগ, পাড়ায় পাড়ায় বাইক বাহিনী নিয়ে টহল দিচ্ছে তৃণমূলের কর্মীরা। বিরোধীদের প্রচার করতে দেখলেই তারা তেড়ে আসছে। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘হাস্যকর অভিযোগ। আমাদের এসব করার প্রয়োজন নেই। আসলে ওদের পাশে লোকজন নেই। প্রচারে নামতে পারছেন না। মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।’’
আগামী ২৫ এপ্রিল গঙ্গারামপুরে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। ৭ নম্বর এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড দুটিতে বিরোধীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা ভোটে তৃণমূল জিতে গিয়েছে। পাশাপাশি, সব ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফে প্রচার অভিযান পুরোদমে শুরু হলেও প্রচারের ময়দানে তেমন ভাবে বিরোধী সিপিএম এবং বিজেপিকে নামতে দেখা যায়নি।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘শাসক দলের হুমকির জেরে দলীয় প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুলিশকে প্রচারের যাবতীয় তথ্য আগাম জানানো হচ্ছে। আমরা অশান্তি চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy