Advertisement
E-Paper

নদী ভাঙনে বিপদ স্কুলে

 নদী ভাঙনের জেরে নদী থেকে স্কুলের মূল ভবনের দূরত্ব দাঁড়িয়েছে ছয় ফুটে। আগেই ভাঙনের কবলে পড়ে নদীতে মিলিয়ে গিয়েছে স্কুলের গার্ডওয়াল। মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় হেলে গিয়েছে স্কুলের ভবনের একাংশ। ফাটল দেখা দিয়েছে ভবনের নানা জায়গায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৫১
বিপজ্জনক: নরম মাটি, ফাটল শৌচাগারের দেওয়ালে। নিজস্ব চিত্র

বিপজ্জনক: নরম মাটি, ফাটল শৌচাগারের দেওয়ালে। নিজস্ব চিত্র

নদী ভাঙনের জেরে নদী থেকে স্কুলের মূল ভবনের দূরত্ব দাঁড়িয়েছে ছয় ফুটে। আগেই ভাঙনের কবলে পড়ে নদীতে মিলিয়ে গিয়েছে স্কুলের গার্ডওয়াল। মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় হেলে গিয়েছে স্কুলের ভবনের একাংশ। ফাটল দেখা দিয়েছে ভবনের নানা জায়গায়।

এ রকম বিপদ মাথায় নিয়েই চলছে রায়গঞ্জের বন্দর এলাকার রায়গঞ্জ টেন ক্লাস গার্লস হাইস্কুলের পড়াশোনা। তাও গত প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ধরে। প্রশাসনের কাছে একাধিক বার সংস্কারের দাবি জানালেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।

স্কুলের তিনটি শৌচাগার একদিতে কাত হয়ে গিয়েছে। মেঝেতে তৈরি হয়েছে গর্ত। বিপদ এড়াতে সেগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এখন স্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৮০০। রয়েছেন ১৯ জন শিক্ষিকা ও তিনজন শিক্ষাকর্মী।

প্রধানশিক্ষিকা সীমা নাগের অভিযোগ, ‘‘পাঁচমাস ধরে জেলাশাসক, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, জেলা সর্বশিক্ষা মিশন ও সেচ দফতরের কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়ে স্কুলের ভবন সংস্কারের দাবি জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি।’’

যে কোনও মাটি ধসে গিয়ে স্কুলভবন ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষিকা, ছাত্রীরা। রয়েছে প্রাণহানির ভয়ও। সেসব নিয়েই স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানশিক্ষিকা।

উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েশা রানির দাবি, ‘‘প্রশাসনিক কাজের চাপে হয়তো স্কুলের পাঠানো চিঠি খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি।’’ দুয়েকদিনের মধ্যে ওই স্কুলের পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য প্রশাসনের কর্তাদের পাঠাবেন বলে জানান তিনি। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ভবন মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।

ওই স্কুল ভবনের পিছন থেকে কুলিক নদীর দূরত্ব ছিল প্রায় ৬০ মিটার। গতবছরের অগস্টের বন্যায় নদীর ধারের মাটি ধসে স্কুল থেকে নদীর দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ছয় ফুট। তিনতলার ওই স্কুলে ২০টি ক্লাসরুম রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে একটি হলঘর, একাধিক ল্যাবরেটরি, শিক্ষিকাদের একধিক ঘর। ছাত্রীদের চারটি ও শিক্ষিকাদের একটি শৌচাগার রয়েছে।

প্রধানশিক্ষিকা সীমাদেবী ও স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য বাবন সাহার দাবি, অষ্টম ও দশম শ্রেণির ক্লাসরুম, দোতলার শিক্ষিকার কমনরুম, ভূগোলের ল্যাবরেটরি এবং তিনতলার একাদশ শ্রেণির ক্লাসরুমের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে হলঘর ও শিক্ষিকাদের শৌচাগারও।

River Erosion Crack School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy