প্রতীকী ছবি।
মিথ্যে মামলায় দলের একাধিক নেতাকর্মীকে ফাঁসিয়েছে পুলিশ—সেই সব ক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যে জামিন না দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়ে দিল বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতৃত্ব। ইসলামপুরের দাড়িভিটে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্ত, গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের গ্রেফতার ও দলের ধৃত নেতা ও কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে রিলে অনশন শুরু করেছে বিজেপি। দলের নেতা ও কর্মীরা রায়গঞ্জের মহাত্মা গাঁধী রোড এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ বেঁধে অনশন শুরু করেছেন। রবিবার ওই অনশনমঞ্চে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ী ও দলের প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি নিমাই কবিরাজ। তাঁদের দাবি, দাড়িভিটে পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন তাঁরা। বিজেপির দাবি, ২৬ সেপ্টেম্বর দলের ডাকা বন্ধ চলাকালীন ইসলামপুর থেকে যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার সহ বিজেপির শতাধিক নেতা ও কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে মারধর করেছে। এর আগে দাড়িভিট কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার অপরাধে দলের জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীকে পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে একাধিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। বর্তমানে জেলার নয়টি ব্লকের দলের শতাধিক নেতা ও কর্মী মিথ্যা মামলায় জেলে রয়েছেন।
বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, রাজ্য সরকার সিআইডি-কে দাড়িভিটে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। সিআইডি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তাই সিআইডি-র কর্তারা পুলিশকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন। তা ছাড়া তদন্তের আগেই মুখ্যমন্ত্রী গুলি চালানোর ঘটনার জন্য বিজেপি ও আরএসএসকে দায়ী করেছেন। তাই সিআইডির তদন্তে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ হবে না। সেই কারণে, তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া ও গুলি চালানোর ঘটনায় দোষী পুলিশকর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ ও রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আজ, সোমবার অনশনমঞ্চে দলের রাজ্য সম্পাদক তনুজা চক্রবর্তী হাজির থাকবেন। ২ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত দলের তিন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী রায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু ও মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ওই মঞ্চে হাজির থাকবেন।
পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। পুলিশ আইন মেনেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের বক্তব্য, বিজেপি পুলিশ ও রাজ্য সরকারের উপরে চাপসৃষ্টি করে বিভিন্ন মামলায় দলের অভিযুক্তদের বাঁচাতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy