দিনহাটা কলেজের ছাত্র অলকনিতাই দাস।
মাজিদ আনসারির খুনের ঘটনার তিন মাসের মাথায় ফের দ্বন্দ্বের জেরে এক কলেজ ছাত্রের প্রাণ গেল কোচবিহারে। টানা তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন দিনহাটা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র অলকনিতাই দাস (২০)। শনিবার সকালে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি দিনহাটার কোয়ালিদহ এলাকায়।
বৃহস্পতিবার কলেজের সামনেই আক্রান্ত হন ওই পড়ুয়া। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই ঘটনা। নিহত অলোক যুব তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। লোহার রড, বাটাম দিয়ে অলোককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মারধরের পর যাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ হয়েছে তাদের মধ্যে জেলা টিএমসিপি নেতা সাবির সাহা চৌধুরী ও তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ ঘোষের নাম রয়েছে। দু’জনেই দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারপর থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহারের ওই নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এ দিন তাঁর মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিকেলে দেহ পৌঁছনোর পর দিনহাটা থানার সামনেও বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান যুব তৃণমূল, টিএমসিপি সমর্থকদের একাংশ।
উদয়নবাবু বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। দুষ্কৃতীরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগে কারও নাম থাকলেই দোষ প্রমাণ হয় না। প্রকৃত দোষীদের ধরতে হবে।” যুব তৃণমূলের দিনহাটার শহর ব্লক সভাপতি অজয় রায় বলেন, “যারা ওই মারধরের ঘটনায় নানাভাবে অভিযুক্ত তাদের নামে থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, মারধরের ঘটনার পরেই ২০ জনের নামে অভিযোগ হয়েছে। ওই তালিকাতেই উদয়ন ঘনিষ্ঠ ওই দুই নেতার নাম রয়েছে। দুজনেই অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আগেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সাবির বলেন, “ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আমরাও দাবি জানাব।” জয়দীপবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশের এক কর্তা জানান, পাঁচ জনকে ধরা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। কোচবিহারের এসপি ভোলানাথ পাণ্ডে ও দিনহাটার এসডিপিও উমেশ জি গণপত দুজনের মোবাইলই এ দিন একাধিকবার বেজে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy