প্রতীকী ছবি।
প্রায় বছর দুয়েক আগে নিজের এনক্লোজ়ার থেকে লাফিয়ে পালিয়ে গিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিল বেঙ্গল সাফারি পার্কের পুরুষ চিতাবাঘ সচিন। চার দিনের জ্বরে ভুগে শনিবার রাতে মারা গেল বছর বারোর ওই চিতাবাঘটি। কোনও সংক্রমণ থেকেই জ্বর বলে মনে করছেন ওই পার্কের পশু চিকিৎসকেরা। তবে ঠিক কী ভাবে সংক্রমণ ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে চিতাবাঘটির ভিসেরা পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। এখন বেঙ্গল সাফারিতে রইল চারটি চিতাবাঘ।
বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা বাদল দেবনাথ বলেন, ‘‘কয়েকদিন থেকেই জ্বরে ভুগছিল সচিন। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। সাফারির একজন চিকিৎসক ছাড়াও আরও এক পশু চিকিৎসক এসে দেখছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না।’’ দাজির্লিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জ়ুলজিক্যাল পার্ক বা দার্জিলিং চিড়িয়াখানা থেকে দ্বিতীয় পশু চিকিৎসক আনা হয়েছিল। বন দফতর সূত্রে দাবি, জ্বর করোনার সংক্রমণের জেরে আসেনি সচিনের। করোনা ভাইরাস মানুষের থেকে পশুর শরীরে গেলেও তা প্রভাব ফেলতে পারে না বলেই দাবি চিকিৎসকদের। দেহের বাইরে দৃশ্যত কোনও চোট বা সংক্রমণের চিহ্নও সচিনের ছিল না বলেই দাবি করছেন তাঁরা। ময়নাতদন্তে জ্বরের জন্যই মৃত্যু বলে বলা হয়েছে। কীসের সংক্রমণে জ্বর ছাড়ছিল না, তা খতিয়ে দেখতেই ওই সচিনের দেহের ভিসেরা কলকাতায় ভারতীয় পশুচিকিৎসা গবেষণাকেন্দ্রে পাঠিয়ে আরও ভাল করে যাচাই করা হবে বলে জানান কর্তারা। তাঁদের দাবি, জঙ্গলে চিতাবাঘ সাধারণত ১০ বছর বাঁচে। ঘেরোটাপে আরও একটু বেশি। বাধর্ক্যজনিত কোনও রোগের শিকার সচিনের হয়ে থাকতে পারে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে বছরের প্রথম দিনই বেঙ্গল সাফারির বনকর্তাদের কপালের ভাঁজ বাড়িয়ে তুলেছিল ৫ ফুট লম্বা সচিন। সাফারির এনক্লোজ়ারের মধ্যেই ১২ ফুটের বেড়া ডিঙ্গিয়ে পার্কের ৯০ হেক্টর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। চারদিন পর খাবারের টানে নিজেই নিজের আস্তানায় ফিরে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy