Advertisement
E-Paper

ছাত্রীর দেহ উদ্ধার কালিয়াচকে

নিখোঁজ কলেজ ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার জামিরঘাটা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, ছাত্রীটিকে খুন করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০২:০০

নিখোঁজ কলেজ ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার জামিরঘাটা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, ছাত্রীটিকে খুন করা হয়েছে। তবে খুনের কারণ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রেম ঘটিত কারণে খুন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীটির নাম আসিবা খাতুন। তিনি কালিয়াচকের সুলতান গঞ্জ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাবা তাইবুল মোমিন পেশায় রেশম ব্যবসায়ী। এ দিন তিনি কালিয়াচক থানায় মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ জানান, মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক থানার শেরশাহী গ্রাম পঞ্চায়েতের মারুপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রেশম ব্যবসায়ী তাইবুল মোমিনের চার ছেলে মেয়ে। আসিবাই বড়ো। তিনি কালিয়াচক কলেজে সাধারণ বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসার কাজে অধিকাংশ সময়ই তাইবুলকে ভিন রাজ্যে যেতে হয়। এর ফলে ব্যবসার সমস্ত হিসেব দেখতেন আসিবাই। গত ১৫ অক্টোবর সন্ধে থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান আসিবা। প্রথম দিকে কোথাও ঘুরতে গিয়েছে মনে করলেও রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজ খবর শুরু হয়ে যায়। কোথাও খোঁজ না পেয়ে ১৬ অক্টোবর কালিয়াচক থানায় নিখোঁজে ডায়েরি করেন পরিবারের লোকেরা।

পরে বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে জামিরঘাটা স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি আম বাগান থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রীর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। সেই ব্যাগে বেশ কিছু পোশাক, প্রসাধনী সামগ্রী, প্যান কার্ড ও একটি এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, নিখোঁজ হওয়ার দিনই সকালে এটিএম থেকে ১১ হাজার টাকা তুলেছিলেন আসিবা। এ ছাড়া সোনার চেন, কানের দুল ও হাতের চুরিও পড়ে ছিল ওই দিন। এ দিন মৃতদেহর কাছ থেকে কোন সোনার অলঙ্কার উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাইবুল বলেন, ‘‘আমার মেয়ের সোনার অলঙ্কার ও টাকা লুঠ করে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এমন করল তা বুঝতে পারছি না।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীটির মৃত্যুর পরে আট থেকে ন’দিন হয়ে গিয়েছে। তাই শরীরের অধিকাংশ পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই খুনের কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ঘটনার পিছনে প্রেম ঘটিত কারণ রয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Decomposed body
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy