Advertisement
০২ জুন ২০২৪

শিলিগুড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় আশঙ্কা

ডেঙ্গির জীবাণু বাহক মশা এডিস ইজিপ্টাইয়ের লার্ভা ক্রমেই বাড়ছে শিলিগুড়ি শহরে। তাতেই বিপদের আশঙ্কা করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক আগে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে কলকাতা থেকে পতঙ্গবিদদের নিয়ে এসে চারটি এলাকায় সমীক্ষা করানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩০
Share: Save:

ডেঙ্গির জীবাণু বাহক মশা এডিস ইজিপ্টাইয়ের লার্ভা ক্রমেই বাড়ছে শিলিগুড়ি শহরে। তাতেই বিপদের আশঙ্কা করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক আগে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে কলকাতা থেকে পতঙ্গবিদদের নিয়ে এসে চারটি এলাকায় সমীক্ষা করানো হয়। তাতেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ওই সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গির জীবাণু বাহক মশার লার্ভা বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর তা জানিয়ে পুর কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সোমবার কয়েকটি জায়গা পরিস্থিতি দেখতে যান মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। মেয়র বলেন, ‘‘ডেঙ্গির জীবাণু বাহক মশার লার্ভা বাড়ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। এ দিন কিছু জায়গায় নিকাশি নালায় জল জমে রয়েছে, আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখেছি।’’ সে সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বলে জানান তিনি। নিকাশিতে জমা জল বার করতে ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে ব্যবস্থা নিতে বলেন মেয়র। দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস জানান, ২৩, ৩১, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং খালপাড়া চারটি এলাকায় সমীক্ষা করে ডেঙ্গির বাহক মশার লার্ভা বাড়ছে বলে তাঁদের নজরে এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘কোথাও ডেঙ্গি রোগী থাকলে লাগোয়া এলাকায় মশার লার্ভা কতটা রয়েছে সমীক্ষা করা হবে।’’ পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই শহরে ১৪ জন বাসিন্দার দেহে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। একাধিক নার্সিংহোমে জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছেন কয়েকজন। স্থানীয় বাসিন্দা সন্ধ্যা দে, পূজা বিশ্বাসরা জানান, নিকাশি নালাগুলিতে বেশির ভাগ সময় আবর্জনা জমে থাকে। মেয়র আসার আগে এ দিন পরিষ্কার করে ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছে। নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই এর দাবি তুলেছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE