—প্রতীকী ছবি
জ্বর বাড়ছে জলপাইগুড়িতেও। ইতিমধ্যেই জেলায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে (জেই) এক শিশু-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই রাজগঞ্জে জেই-তে পাখি হাজরা (২) ও মালবাজারে সনিয়া ওরাওঁয়ের (৬০) মৃত্যু হয়েছে। ময়নাগুড়িতে একজনের রক্তে জেই-র জীবাণু মিলেছে।’’
জেলার সব সরকারি হাসপাতালেই ডেঙ্গি ও জেই আক্রান্তের জন্য বিশেষ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘ছুটি বাতিল করা হয়েছে সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের। সপ্তাহের সাত দিনই ২৪ ঘণ্টা ডিউটির জন্য নার্সিং স্টাফ, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৮টি এবং সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পুরুষ ও মহিলা মেডিক্যাল বিভাগে ৬ টি করে পৃথক বিশেষ শয্যায় এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্তদের রাখা হচ্ছে। এছাড়াও জেলার অন্য হাসপাতালেও বিশেষ শয্যার ব্যবস্থা হয়েছে।
এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা সব দিক থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। চার ঘণ্টার মধ্যেই আমরা ম্যাক অ্যালাইজা টেস্টের রিপোর্ট তৈরি করছি। এনএস ওয়ান পজিটিভ কিনা তা চিহ্নিত করতে সময় নষ্ট করা চলবে না। এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’’ এদিকে, জলপাইগুড়ি পুরএলাকার চার জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক শান্তনু নন্দন মৈত্র বলেন, ‘‘পুর এলাকার ৩ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে যাঁরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা সকলেই কলকাতা, দিল্লি বা মুম্বই থেকে ডেঙ্গির জীবাণু নিয়ে ফিরেছিলেন।’’ জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ২ দেবাশিস সরকার বলেন, ‘‘ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তেমন ভাবে নেই। তবে আক্রান্ত হলে রিপোর্ট তৈরি করে আমরা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠাচ্ছি। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy