শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন পুর কর্তৃপক্ষ।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে শহরে অন্তত ১৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত শহরে ৭৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনায় বসেন পুর কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য দফতর। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারও। পরিস্থিতির জেরে পুজোয় পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের টানা ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুজোর সময় তাঁরা ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ চালাবেন। বাড়ি বাড়ি যাওয়া, লিফলেট বিলির মতো সচেতনতা প্রচার করবেন।
মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সে কারণেই পুজোর সময় স্বাস্থ্য কর্মীরা ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ করবেন। গত এক সপ্তাহে বৃষ্টির জন্য জল জমেছে। তাতেই মশা জন্মে ডেঙ্গি বেড়েছে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন। আক্রান্তরা যে এলাকার বাসিন্দা সেই জায়গাগুলিপরিষ্কার রাখা, কোথাও যাতে জল না জমে সে সব বিষয়ের জোর দেওয়া হচ্ছে। মশার লার্ভা মারতে স্প্রে করার হচ্ছে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের কয়েকজন আধিকারিক জানান, বৃষ্টি ও তারপর কয়েকদিন রোদ। এমন আবহাওয়ার জেরেই ডেঙ্গির দাপট বাড়ছে। জল জমে থাকায় তাতে মশার লার্ভা হচ্ছে। উপযুক্ত তাপমাত্রা মেলায় তা থেকে মশা জন্মাচ্ছে।
শিলিগুড়ি শহর ছাড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মাটিগাড়াতে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। মাটিগাড়ায় অন্তত ৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। দার্জিলিং জেলা এবং শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ১৪ টি ওয়ার্ড মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক।
বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘আরও আগের থেকে সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে নামা উচিত ছিল। বরোগুলি থেকে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ করা দরকার। শহরের বিভিন্ন নির্মীয়মাণ বাড়ি অসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। সেগুলি চিহ্নিত করে নির্মাণ কাজের জায়গাগুলিতে যাতে জল জমে না থাকে তা দেখা দরকার বলে জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy