করমর্দন: ক’দিন পরেই ডার্বির লড়াই। তার আগে খোশমেজাজে দু’দলের সমর্থক। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
ডার্বিতে টিকিট বিভ্রাট চলছেই। আগের ডার্বিতে মোহনবাগান ক্লাবের নাম ভুল লেখা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠার পর তা শোধরানো হয়। এবার মোহনবাগান ক্লাবকে ১৫০ টাকার টিকিট বিলির পর তার গ্যালারি বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। মোহনবাগান গ্যালারি বদলে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে শিলিগুড়িতে ১৫০ টাকার টিকিট মোহনবাগান সমর্থকেরা কিনতে পারবেন না।
মোহনবাগান ক্লাব ভিভিআইপি গ্যালারির পাশে ৩ নম্বর গেটের গ্যালারি এবং মাঠের উল্টোদিকে ৯ ও ১০ নম্বর গেটের কাছের গ্যালারি চেয়েছিল। রবিবার পর্যন্ত ঠিক ছিল সেটাই তাদের দেওয়া হবে। সেই মতো টিকিটও পাঠানো হয়। এ দিন কলকাতায় কিছু টিকিট বিলিও হয়।
সোমবার নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখতে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন শহরের পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা। তিনি জানান ৭-১০ নম্বর গেটগুলো দিয়ে ঢুকে একটি টানা গ্যালারি রয়েছে। মাঝে কোনও ফেন্সিং নেই। সেই কারণে ৯ ও ১০ দিয়ে মোহনবাগান এবং ৭ ও ৮ গেট দিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মাঠে ঢুকলেও একসঙ্গে তাঁদের বসতে হবে। তাতে গোলমালের আশঙ্কা করছেন আয়োজক ও পুলিশ। কমিশনার জানান, মোহনবাগান সমর্থকরা ৩ নম্বর ও ৪-৬ নম্বর গেটের অংশে গ্যালারিতে বসতে পারবেন। সেই মতো ৯ ও ১০ নম্বর গেটের গ্যালারির জন্য ১৫০ টাকার যে টিকিট মোহনবাগান সমর্থকেরা ইতিমধ্যে কিনেছেন সেই টিকিটে তাঁদের ২০০ টাকার ৩ নম্বর গ্যালারিতে বা ১০০ টাকার ৪-৬ নম্বর গ্যালারিতে বসতে হবে। কলকাতাতেও ক্লাব কর্তারা ১৫০ টাকার টিকিটে গেট নম্বর বদলে দিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। এর ফলে ৩ নম্বর গ্যালারিতে অন্তত ৫০০ বাড়তি লোক ঢুকবে। এই সমস্যা আটকাতে ৩ নম্বর গ্যালারির ২০০ টাকার টিকিট কিছু কমিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ।
অন্য দিকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রির শুরুতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সঙ্গে কাউন্টারে থাকা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের বচসা বাধে। অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায়, সুমিত চৌধুরী, অমিত দাসদের মতো লাল-হলুদের সমর্থকদের অভিযোগ, কাউন্টারে টিকিট দিতে দেরি হওয়ায় তাড়তাড়ি টিকিট চাওয়া হয়। তখন তাঁদের গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে গোলমালের জেরে টিকিট বিক্রি মিনিট দশেক বন্ধ থাকে। কাউন্টারের ভিতরে সে সময় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা অরূপরতমবাবু মোহনবাগান জার্সি গায়ে ছিলেন। তিনিও লাল-হলুদের সমর্থকদের অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ। ক্রীড়া পরিষদের সচিব এবং লোকজন এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। যদিও অরূপরতনবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ দিন প্রায় ৪ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy