E-Paper

রাত ৮টায় মঞ্চ ‘ফাঁকা’, সামনে বহু খালি চেয়ার

তৃণমূল সূত্রের খবর, ধর্না-মঞ্চ প্রথমে শহরের হাসমি চকে করা হবে বলে আলোচনা করা হয়। কিন্তু পরে, তা সরকারি অতিথি নিবাস মৈনাকের সামনে করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ০৯:৪০
Dharna Stage empty at Siliguri

রাত ৮টায় ফাঁকা মঞ্চ এবং সামনের আসন। নিজস্ব চিত্র ।

কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরোধিতায় এবং বঞ্চনার অভিযোগে কর্মসূচি চলার কথা ৩২ ঘণ্টা। সোমবার সকাল থেকে শিলিগুড়িতে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সে কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নেত্রী মালা রায় এবং অন্য মহিলা নেত্রীরা। দলের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নেত্রীরাও ছিলেন। কিন্তু রাত ৮টা নাগাদ হিলকার্ট রোডের ধারে, মাল্লাগুড়িতে ধর্না-মঞ্চ এবং তার সামনের চেয়ার ফাঁকা দেখে, অনেকে ধন্দে পড়েন। তবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘একটা সময় মঞ্চ পরিষ্কার করা হচ্ছিল। তাই আমরা মঞ্চের পাশে বসেছিলাম। মঞ্চ কখনই ফাঁকা ছিল না। কর্মসূচি ঠিক চলেছে। অপপ্রচারের জন্য অনেকে অনেক কিছু বলছেন।’’ রাতে অবশ্য মঞ্চে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং আরও কয়েক জন নেত্রীকে দেখা গিয়েছে। তবে চেয়ার ফাঁকাই ছিল।

তৃণমূল সূত্রের খবর, ধর্না-মঞ্চ প্রথমে শহরের হাসমি চকে করা হবে বলে আলোচনা করা হয়। কিন্তু পরে, তা সরকারি অতিথি নিবাস মৈনাকের সামনে করা হয়। দলের নেত্রীদের একাংশ জানান, হাসমি চক বরাবর মাল্লাগুড়ির ওই এলাকার চেয়ে বেশি জমজমাট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাসমি চকে কর্মসূচি করেছেন। মাল্লাগুড়িতে দিনের বেলায় সভা করেছেন। হাসমি চকের পাশে, উড়ালপুল দিয়ে সারা রাত গাড়ি চলে। সেখানে জেলা হাসপাতাল রয়েছে। মাল্লাগুড়ি রাতে অপেক্ষাকৃত ফাঁকা থাকে। তাই কর্মসূচির জায়গা বদল নিয়ে দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে নানা মত দেখা দিয়েছিল।

তবে ওই মঞ্চে এ দিন সকাল থেকে কেন্দ্রের বিজেপির সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা হয়। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। চন্দ্রিমার দাবি, কয়েক লক্ষ শ্রমিকের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে, আবাস যোজনায় টাকা ছাড়ছে না এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নবজোয়ার কর্মসূচির জনসমর্থনে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তবে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আনন্দময় বর্মণ বলেন, ‘‘দুর্নীতির জালে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা জড়িত। তা থেকে মুখ ঘোরাতেই এখন মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।’’

তৃণমূল সূত্রের খবর, সন্ধ্যার পরেই ফাঁকা হতে দেখা যায় ধর্না-মঞ্চ এবং তার সামনের সব চেয়ার। রাত ৮টা নাগাদ ওই এলাকা দিয়ে যাতাযাত করা অনেকেরই চোখে পড়েছে ফাঁকা মঞ্চ এবং তার নীচে শূন্য চেয়ারের সারি। কোনও নেত্রীকে মঞ্চে দেখা যায়নি তখন। মাইক বন্ধ ছিল। কয়েক জনকে মঞ্চ ঠিকঠাক করতে দেখা যায়। ধর্নায় অংশগ্রহণকারীদের হাতেগোনা কয়েক জনকে মঞ্চের পাশে বসে গল্প করতে দেখা যায়। টানা কর্মসূচির এমন হাল কেন হল, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা শুরু হয়। এর পরে, রাতে নেত্রীদের কয়েক জনকে মঞ্চে ফের দেখা যায়।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে সম্প্রতি মাত্রাতিরিক্ত অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া দিতে না পারার জেরে, মৃত শিশুকে ব্যাগে নিয়ে বাসে চেপে উত্তর দিনাজপুরে ফিরতে হয়েছিল বাবাকে। এ ধরনের ঘটনা প্রশাসনিক ভাবে দেখা উচিত বলে এ দিন জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গাফিলতি হয়ে থাকলে, তা প্রশাসনিক ভাবে দেখা উচিত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri Mala Roy Chandrima Bhattacharya

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy