আন্দোলন: বিজেপি কর্মীদের থানা ঘেরাও কর্মসূচি। রবিবার প্রধাননগর থানা চত্বরে। ছবি: স্বরূপ সরকার
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত শনিবারের সেই ঘটনার পরে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি তুলেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার পাল্টা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘গোবর লেপে দেওয়া’র হুমকি দিলেন দিলীপ। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়েরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এ দিন শিলিগুড়ি শহরের সূর্যনগরের মাঠের পাশে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচির পরে দিলীপের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে রাজ্যের শাসক দল। বিজেপিও আর বসে থাকবে না বলে তিনি জানান। ‘মারের পাল্টা মার’ দেওয়ার নিদানও দেন তিনি। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি বলেন, ‘‘আমরাও বাড়ি ঘেরাও করব। কোনও নেতাকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেব না। বাড়ির ইলেকট্রিসিটির লাইন কেটে দেব, জলের লাইন কেটে দেব। দরজায় গোবর লেপে দেব। আমরা অনেক মার খেয়েছি। সুদ-সমেত ফেরত নেব।’’
দিলীপের এমন মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সমতলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘নোংরা মানসিকতারই পরিচয়। বিজেপি নেতা আর গরুর বাইরে বার হতে পারলেন না। গণ্ডগোল বাধালে মানুষ ছেড়ে কথা বলবেন না। দিনহাটার ঘটনায় প্রশাসন আইনি পদক্ষেপ করছে।’’
এ দিন শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির অফিস মাল্লাগুড়িতে দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন দিলীপ। দলীয় সূত্রের খবর, বিধানসভা, পুরসভা ভোটের পরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের অনেকে দলীয় কাজে অংশ নিচ্ছেন না। বসে যাওয়াদের কাজে ফেরাতেই জেলায় জেলায় ঘুরছেন দিলীপ। শিলিগুড়িতে গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট নেই। তাই সরাসরি লোকসভার প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। পরে মাল্লাগুড়ি থেকে মিছিল করে গিয়ে প্রধাননগর থানার সামনে বিক্ষাভ দেখায় বিজেপি। গেটের কাছেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি আনন্দময় বর্মণ অভিযোগ করেন, রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেখানে সুরক্ষিত নন, সেখানে সাধারণ মানুষ থাকবেন কী ভাবে? তিনিও অবিলম্বে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি তুলেছেন। আনন্দের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ দলদাসে পরিনত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা গণতন্ত্রের অবক্ষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy