Advertisement
E-Paper

ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ডাক্তারকে মার, ধৃত দুই

হাসপাতাল সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে মাটিকুন্ডা এলাকার ঝলঝুলির বাসিন্দা লিলি খাতুন পেটের ব্যথা নিয়ে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৫৬
চিকিৎসাধীন: হাসপাতালে চিকিৎসক নুর আলম। নিজস্ব চিত্র

চিকিৎসাধীন: হাসপাতালে চিকিৎসক নুর আলম। নিজস্ব চিত্র

দ্বিতীয় বার আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে বলায় হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল রোগিণীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। আহত চিকিৎসককে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে মহকুমা হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সঙ্গে রোগিণীর পরিজনদের বচসা বাধে এবং চিকিৎসককে মারধর করা হয়। হাসপাতালে জিনিসপত্র তছনছ করা ও নার্সদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির অভিযোগও ওঠে। প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল জানান, হাসপাতালের তরফে অভিযোগ পেয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গোটা বিষয়টির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে মাটিকুন্ডা এলাকার ঝলঝুলির বাসিন্দা লিলি খাতুন পেটের ব্যথা নিয়ে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের চিকিৎসক নুর আলম আনসারি তাঁকে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দেন এবং গলব্লাডারের সমস্যা হয়েছে আন্দাজ করে শল্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন। শল্য চিকিৎসক রোগিণীর আরও একবার আলট্রাসোনোগ্রাফির পরামর্শ দেন। চিকিৎসক নুর আলি আনসারি বিষয়টি জানাতে রোগিণীর স্বামী ও শ্বশুর উত্তেজিত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। চিকিৎসক ও নার্সদের গালিগালাজ করা, চিকিৎসককে মারধর ও নার্সদের ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। অভিযুক্তদের আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ইসলামপুর থানার পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্ত দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক নুর আলমকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়। ওই চিকিৎসক বলেন, ‘‘শল্য চিকিৎসকের অভিমত অনুযায়ী আরও একবার আলট্রাসোনোগ্রাফির কথা জানিয়েছিলাম। এ কথাও জানানো হয় যে, রোগিণীর গলব্লাডারে পাথর থাকার আশঙ্কা রয়েছে। সে কথা শুনে রোগিণীর বাড়ির লোকজন গালিগালাজ করতে শুরু করেন এবং মারধর করেন। মানসিক ভাবে আমি বিপর্যস্ত। চাকরি থেকে ইস্তফার চিন্তাভাবনা করতেও বাধ্য হচ্ছি।’’

ইসলামপুর হাসপাতালের সুপার নারায়ণচন্দ্র মিদ্যা বলেন, ‘‘ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’ ইসলামপুর হাসপাতাল রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। ওই চিকিৎসক যাতে ইস্তফা না দেন, তা আমরা অবশ্যই দেখব।’’

Health Crime Islampur Islampur Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy