Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে ধুন্ধুমার কোচবিহারে

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে গীতালদহের মরারকুঠির পাঁচ বছরের শিশু রাহুল হক মাথায় চোট পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। ওই শিশুকে নিয়ে দিনহাটা হাসপাতালে যান ওই শিশুর পরিবারের লোকজন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:২৪
আহত চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ দাস। নিজস্ব চিত্র

আহত চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ দাস। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধর ও পাল্টা রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের উপরে হামলার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন দিনহাটার বাসিন্দারা।

হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানের ভেতরে যদি কেউ সুরক্ষিত না হন, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা কী ভাবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এই অবস্থায় দু’পক্ষের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন দিনহাটার বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়াম্যান উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, “চিকিৎসকের উপরে হামলার ঘটনা ক্ষমাহীন অপরাধ। যারা এমন ঘটনায় যুক্ত তাঁদের শাস্তির দাবি করছি। আবার যারা রোগীর বাড়ির লোকজনকে মারধর করেছে সেটাও মেনে নেওয়া যায় না। তাঁদেরও শাস্তির দাবি করছি।”

কোচবিহারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতালের মতো চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হলে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এমনটা যেন না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।” পাশাপাশি রোগীর পরিবারের উপরে হামলার ঘটনা ঠিক নয় বলে তাঁর দাবি। ইতিমধ্যেই পুলিশ চিকিৎসকের উপরে হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। কোচবিহারের এক পুলিশকর্তা বলেন, “ওই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালের তরফ থেকেই অভিযোগ করা হয়। অন্যদের কোনও অভিযোগ পাইনি।”

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে গীতালদহের মরারকুঠির পাঁচ বছরের শিশু রাহুল হক মাথায় চোট পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। ওই শিশুকে নিয়ে দিনহাটা হাসপাতালে যান ওই শিশুর পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, ভর্তি নেওয়ার পরে প্রায় এক ঘণ্টা কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখেননি। পরে সার্জেন ইন্দ্রজিৎ দাস তাঁকে দেখে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেন। তা নিয়েই বচসা থেকে চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎবাবুকে মারধরের অভিযোগ ওঠে রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। সেই মুহূর্তে রোগীর বাড়ির আত্মীয়দেরও পাল্টা মার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে রক্তাক্ত হন চিকিৎসক ও রোগীর পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ওই শিশুকে সিটি স্ক্যানের জন্য কোচবিহার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, সঠিক চিকিৎসা না করেই তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয়।

দিনহাটা হাসপাতালের সুপার রণজিৎ মণ্ডল বলেন, “শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসা করেই তাঁকে রেফার করা হয়। চিকিৎসক দেখেননি এই অভিযোগ ঠিক নয়। হাসপাতালের কেউ কাউকে মারধর করেনি।”

Sub Divisional Hospital Dinhata medical negligence beaten Doctor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy