Advertisement
E-Paper

বঞ্চনা নিয়ে অশোক-গৌতম তরজা

দু’বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরসভার বাস্তবিক অবস্থার কথা পুস্তিকা আকারে বাসিন্দাদের মধ্যে বিলি শুরু করল বাম পরিচালিত বোর্ড।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৭ ০১:৪৬
পূর্তি: পাশাপাশি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য ও শঙ্কর মালাকার।—নিজস্ব চিত্র

পূর্তি: পাশাপাশি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য ও শঙ্কর মালাকার।—নিজস্ব চিত্র

দু’বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরসভার বাস্তবিক অবস্থার কথা পুস্তিকা আকারে বাসিন্দাদের মধ্যে বিলি শুরু করল বাম পরিচালিত বোর্ড। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে পুরসভার দুই বছর পূর্তির অনুষ্ঠান হয়। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে বাম কাউন্সিলররা, সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং বিধায়ক শঙ্কর মালাকার উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে জানানো হয়, ১৬ পাতার রঙিন বইটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিলি করে মানুষকে অবস্থা জানানো হবে।

মেয়র অভিযোগ করেন, গত দুই বছর আগে এই দিনে শহরে মানুষের ভোটের অধিকার তাঁরা রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। দুই বছর ধরে জবরদখল, গণতন্ত্রকে হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে, তাই তাঁরারা বঞ্চিত। প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কাজ করতে প্রতি পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ সবকে উপেক্ষা করেও পুরবোর্ড নিজের আয়, সাংসদ-বিধায়কদের তহবিলের টাকায় কাজ করছে। এটা মানুষকে জানানোর জন্যই অনুষ্ঠান।

বস্তি উন্নয়ন থেকে পানীয় জল, স্মার্ট সিটি, কর্মসংস্থান-সহ নানা ক্ষেত্রে সরকার অনুমোদন আটকে রাখছে বলে পুস্তিকাটিতে মেয়র দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে ২৮০ কোটি টাকা পাওয়ার হিসাবও বইটির সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের তরফে আর্বান এমপ্লয়মেন্ট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, আমরুত প্রকল্প, জঞ্জাল অপসারণ ছাড়াও অর্থ কমিশন মিলিয়ে ১৮ কোটি মিলেছে বলেও অবশ্য জানানো হয়েছে। যা বাস্তব ছবির সঙ্গে মিল নেই বলে সাফ জানিযে দিয়েছেন মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব।

গৌতম বলেন, ‘‘মেয়র মিথ্যাচার করছেন। আমরাও বই তৈরি করে মানুষকে দিয়েছি। সেখানে কয়েকশো কোটি টাকার উপরে গতবোর্ডের আমল থেকে সরকার শিলিগুড়িকে দিয়েছে, তা রয়েছে।’’ তাঁর দাবি, রাস্তা, আলো, জঞ্জাল অপসারণের আধুনিক গাড়ি কিনে বছরে কত টাকা বাঁচানোর রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে, তা তো বলা হচ্ছে না। আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।

এ দিনের সভায় সাংসদ ঋতব্রত, বিধায়ক শঙ্করবাবুও জবর দখলের রাজনীতির বিরোধিতায় সরব হন। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘আমাদের গণতন্ত্রে নির্বাচিতরা ৫ বছর থাকবেন। তার পরে মানুষ তাদের কাজের সমীক্ষা করবে। আমরা বোর্ডের পাশে থাকব।’’

Ashok Bhattacharya Gautam Deb Siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy