দাঁতাল হাতির হানায় ছেলের সামনেই মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। এ দিন ফুলু সরকার হোসেন (৪৯) তাঁর ছেলে সহিবুল আলমের সঙ্গে মোটর বাইকে করে যাচ্ছিলেন। ছেলে বাইক চালাচ্ছিলেন, বাবা পিছনে বসেছিলেন। সেই সময়ে জঙ্গলের পথে আচমকাই হাতি বেরিয়ে খুব কাছে চলে এলে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। দু’জনেই পালানোর চেষ্টা করলে বাবাকে ধরে ফেলে বুনো হাতি। ছেলের সামনেই মৃত্যু হয় বাবার।
শুক্রবার বিকেলে লাটাগুড়ি থেকে চালসার পথে গরুমারা জাতীয় উদ্যান ঘেঁষা পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের বাড়ি নাগরাকাটা থানা এলাকার শুল্কাপাড়াতে। ছেলে সহিবুল আলম সরকার পেশায় নাগরাকাটা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার। এ দিন বাবা এবং ছেলে একসঙ্গে চ্যাংরাবান্ধায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।
কিছু দিন আগেই এই পথে লাটাগুড়ির এক স্থানীয় ব্যবসায়ী সপরিবার বাইকে করে ফেরার পথে জঙ্গলের ভিতরে হাতির দলের সামনে পড়ে যান। সেই যাত্রায় চার বছরের শিশু হাতির পায়ের সামনে পড়ে গিয়েও বরাত জোরে বেঁচে যান সকলেই। কিন্তু এ দিন ফুলু বাঁচতে পারেননি।
ফুলু সরকার হোসেন নাগরাকাটার স্থানীয় মহলে যথেষ্ট পরিচিত ছিল। ব্লক স্তরে প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবেও যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন তিনি, তাই মৃত্যুর খবরে শোক ছড়িয়েছে নাগরাকাটাতে।
এদিন ঘটনার সামান্য পরেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন মালবাজারের এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তী। তাঁর নেতৃত্বেই গুরুতর জখম অবস্থায় ফুলুবাবুকে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হলে সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল হয়ে পড়েন ছেলে। পুরো ঘটনাটি বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান গরুমারা দক্ষিণ রেঞ্জের রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তী।