জলপাইগুড়ি থেকে সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের অফিস কোচবিহারে সরিয়ে আনল সেচ দফতর। রবিবার একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে কোচবিহারে আসেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়। দেবীবাড়ি এলাকায় একাধিক নদী ভাঙন কাজের পাশাপাশি বাঁধের উপর একটি রাস্তা তৈরির কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারের সার্বিক উন্নয়নের ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজীববাবু বলেন, “আগে সেচ দফতরের সমস্ত অফিস ছিল শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে। আমরা পরিবর্তন করেছি। সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের অফিস কোচবিহারে সরিয়ে আনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন, এটার একটি বড় নিদর্শন ওই উদ্যোগ।” সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে অস্থায়ী ভাবে ইতিমধ্যে ওই অফিসের কাজ শুরু হয়েছে। স্থায়ী ভবন ও পরিকাঠামো তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার পদমর্যাদায় চিফ ইঞ্জিনিয়ারের পরেই। এত দিন ওই অফিস জলপাইগুড়িতে থাকায় কোচবিহার থেকে নানা কাজে আধিকারিকদের ওই জেলায় ছুটতে হত। এতে সময় ও টাকা দুইই অপচয় হত। পাশাপাশি কোচবিহারের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে সর্বাধিক ৪৫ লক্ষ টাকার প্রকল্পের টেন্ডার করা যেত। ফলে বড় প্রকল্প নিয়েও কিছু জটিলতা ছিল। এ বার সুপারিন্টেন্ডেন্টে অফিস চালু হওয়ায় কোচবিহারের ওই অফিস থেকে সর্বাধিক ২ কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডার ডাকার সুবিধেও মিলবে।
রাজীববাবু জানিয়েছেন, কোচবিহারের উন্নয়নে গত আর্থিক বছরে ২৯ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে কোচবিহারে বাঁধের ওপর নির্মীয়মান পাকা রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ওই অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কোচবিহারে প্রচুর কাজ হয়েছে। এখন বন্যার সমস্যাও আশি শতাংশ কমে গিয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ কমেছে। হরিণ চওড়া- খাগরাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হলে কোচবিহার শহরের ওপর যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে যাবে।” কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া, সেচ দফতরের প্রধান সচিব নবীন প্রকাশ প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy