আন্দোলন চলছিল অনেকদিন ধরেই। বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে একাধিকবার পদযাত্রা ও পথসভা করে কুলিক নদীর সাফাই ও নদীতে দূষণ রোখার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কুলিক পক্ষিনিবাসের পরিযায়ী পাখিদের খাবারের সঙ্কট মেটাতে প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে নদীর নাব্যতা বাড়ানো ও নদীদূষণ রুখতে স্থায়ী পরিকল্পনা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছিল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার থেকে রায়গঞ্জের বাহিন, কমলাবাড়ি-১ ও মাড়াইকুড়া পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা কুলিক নদীর দু’ধারে পলি জমে তৈরি হওয়া চরের মাটি খনন করে নদীর নাব্যতা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের অধীনে ওই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৮,৫৬,৫৬৫ টাকা। প্রশাসনিক নির্দেশে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে ৪০জন জবকার্ডধারী শ্রমিককে কাজে লাগিয়ে নদী খনন ও নদীতে ভেসে বেড়ানো আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ করাচ্ছেন। পুরো কাজের নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসনকে। ১০০ দিনের প্রকল্পের জেলা পরিকল্পনা আধিকারিক সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আশা করছি, আগামী একমাসের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy