Advertisement
E-Paper

হেনস্থা করতেই বহু মামলা, অভিযোগ করলেন দীপ্তিমান

বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করতে পরের পর মামলা দায়ের হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন ছিটমহল আন্দোলনের নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১৬

বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করতে পরের পর মামলা দায়ের হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন ছিটমহল আন্দোলনের নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা এবং দিনহাটা থানায় ওই মামলা হয়। দীপ্তিমানবাবুর দাবি, তিনি বিজেপিতে যাওয়াতে রাজ্যের শাসক দল তাঁকে হেনস্থা করতে পরিকল্পিত ভাবে পুলিশকে দিয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর ‘ফেসবুক’এ স্পষ্টভাবে তিনি ওই মামলার বিরোধিতা করেছেন।

তাঁর অভিযোগ, গত ২০ সেপ্টেম্বর ছিটমহলের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ বিজেপিতে যোগ দেয়। এর পরেই তাঁদের নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যে মামলা দায়ের করে। রাজ্যের শাসক দল ও পুলিশ অবশ্য এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে।” জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন , “মামলার ক্ষেত্রে বিজেপি বা তৃণমূল হিসেবে কাউকে দেখা হয় না। সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ দাবি করেন, পোয়াতুর কুঠিতে তৃণমূলের এক কর্মীর বাড়িতেও হামলা হয়। তা নিয়ে অভিযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, “একটা অশান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কেউ আইন ভেঙে অশান্তি করার চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবেই। আর আইন আইনের পথে চলবে। আর বিজেপিতে তো অনেকেই যোগ দিয়েছে অন্য কারও বিরুদ্ধে তো মামলা হয়নি। তাই ওই অভিযোগের কোনও মানে নেই।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে দাবি করেন, সাবেক ছিটমহলের মানুষ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “রাজ্যের শাসক দল ভয় পেয়েই মিথ্যে মামলা করছে।”

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২০ সেপ্টেম্বর কোচবিহার রবীন্দ্রভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে দীপ্তিমানবাবু সহ সাবেক ছিটমহলের প্রচুর মানুষ বিজেপিতে যোগ দেন। ওই দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই দিন ওই সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে দিনহাটার বামনহাটে সাবেক ছিটমহল পোয়াতুর কুঠির বাসিন্দাদের কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে রেললাইনে বসে বিক্ষোভও দেখান বাসিন্দারা। ওই ঘটনাতেই প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করা হয়েছে দীপ্তিমানবাবুর বিরুদ্ধে। ওই দিনই পোয়াতুর কুঠির এক তৃণমূল নেতা দিনহাটা থানায় তাঁর বাড়িতে হামলার অভিযোগ করেন। মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই মামলাতেও প্রধান অভিযুক্ত দীপ্তিমানবাবু। পাশাপাশি ওইদিনই রবীন্দ্রভবন থেকে বেরিয়ে কোচবিহার পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাবেক ছিটমহলের নেতারা। সেখানে দীপ্তিমানবাবু সহ বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন, অনিল মালাকার সহ প্রথম সারির নেতা নিত্যানন্দ মুন্সি, আনোয়ার হোসেন, আলি হোসেনরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ অফিসারদের লক্ষ্য করে গালি, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

Envlave leader Diptiman sengupta Agitated TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy