Advertisement
E-Paper

ইএসআই দফতরে ভাঙচুর

সাত সকালে সরকারি দফতরে পরিষেবা না মেলার অভিযোগ তুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল একদল উপভোক্তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে মাটিগাড়া থানার পরিবহণ নগরের ‘এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন’ বা ইএসআই দফতরে ঘটনা।

তছনছ দফতর। নিজস্ব চিত্র।

তছনছ দফতর। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪৮
Share
Save

সাত সকালে সরকারি দফতরে পরিষেবা না মেলার অভিযোগ তুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল একদল উপভোক্তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে মাটিগাড়া থানার পরিবহণ নগরের ‘এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন’ বা ইএসআই দফতরে ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, দফতরের নীচতলায় থাকায় মেডিক্যাল ডিসপেন্সারিটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দরজা-জানলার কাচ, টেবিল, কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফ্যান, এসি মেশিন ভাঙচুর করা হয়েছে। নথিপত্র ছডিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। সকলেই দাগাপুর, শালবাড়ি এলাকায় বাসিন্দা। একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঠিকাদার নিযুক্ত কর্মী। অভিযুক্তরা ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই নিয়ে গত কয়েক বছরে দফতরে তিন দফায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। বছর দু’য়েক আগে মেডিক্যাল অফিসারকে মারধরও করা হয় বলেও অভিযোগ।

ইএসআই-র মেডিক্যাল অফিসার গায়ত্রী সরকার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি, ভবনটির দোতলায় থাকা ইএসআই-র কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ দায়ের করেছেন। বেলা ১১টার পর ডিসপেন্সারিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিনভর শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকা থেকে ইএসআই ভুক্ত বিভিন্ন রোগীরা এসে পরিষেব না পেয়ে ফিরে যান। ভবনে সিসিটিভি না থাকায় ঘটনায় ঠিক কারা জড়িত তা অবশ্য চিহ্নিত করা যানি। ডিসপেন্সারির দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক গায়ত্রী সরকার এবং কিশোর ভৌমিক জানান, ওষুধ থেকে চিকিৎসার খরচ মেটানো সব কিছুই কলকাতার মাধ্যমে হয়। অনেকেই দেরি হওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।’’

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘ঘটনার আর কারা জড়িত তা দেখা হচ্ছে।’’ উল্লেখ্য, রাজ্য শ্রম দফতরের প্রশাসনিকভাবে অধীনে থাকলেও ইএসআই ডিরেক্টর কলকাতা থেকে থেকে রাজ্যের সব ইএসআই ডিসপেন্সারিগুলি দেখভাল করেন। শিলিগুড়ির ডিসপেন্সারিতে চারজন চিকিৎসক, আটজন কর্মী এবং একজন নিরাপত্তা রক্ষী আছেন। উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম কমিশনার সমীর বসু বলেন, ‘‘শ্রম দফতরের অধীনে এটি একটি ডাইরেক্টরেট। কলকাতা থেকেই যাবতীয় কিছু দেখভাল হয়।’’

নিরাপত্তারক্ষী আগমেদ শেখ বলেন, ‘‘৫০-৬০ জন সকাল থেকে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। বাধা দিতে গেলে আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়।’’ ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ তামিরুল জানান, কেন্দ্রে এলে ৩-৪ দিনের আগে কোনও কাজ হয় না। ৩-৪ দিনের মধ্যে ডিসপেন্সারি খুলবে কি না কেউ জানায়নি বলে অভিযোগ।

ESI vandalism

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}