শহর হোক বা গ্রামে ব্যস্ত সময়ে রাস্তায় ভ্যান রিকশার চলাচল রোজকার ঘটনা। কিন্তু জাতীয় সড়ক বা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ভ্যান চলাচল আদৌও নিরাপদ কি, সেই প্রশ্ন তুলে দিল মঙ্গলবারের ঘটনা।
শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা লাগোয়া এলাকায় সরকারি বাসের ধাক্কায় জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া একটি স্কুলভ্যান নয়ানজুলিতে ছিটকে পড়ে। পড়ুয়ারা সকলেই কমবেশি জখম হয়। বাসিন্দা দুর্ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী জয়নুল ইসলামের কথায়, ‘‘একটা কথা বলতে পারি, ভ্যানের ভিতরে থাকা সকলেই নতুন জন্ম পেয়েছে।’’
যে সমস্ত ভ্যানে করে খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হয় সেগুলির চেহারাটা অবশ্য উদ্বেগের। তিন চাকার প্যাডেল রিকশার লোহার পাটাতনের ওপরে টিনের পাত দিয়ে মোড়া একটি আয়তাকার বাক্স বসানো। বাক্সের ওপরের দিকে তারজালির জানালা। মুখোমুখি দু’টো বেঞ্চ। তাতে কুঁজো হয়ে বসে আট থেকে দশ জন। তিনচাকার ভ্যানে এবড়োখেবড়ো পথে ভারসাম্য বজায় রাখা কষ্টকর বলে অনেক চালকই দাবি করেন। গ্রামের রাস্তায় অথবা শহরের অলিগলিতে কোনও সমস্যা না হলেও জাতীয় সড়কে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলে। তাই সেখানে ভ্যান চলাচল করা আদৌও নিরাপদ নয় বলে বলছেন ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকরাও। শিলিগুড়ির ডিসি (ট্র্যাফিক) সুনীল যাদব সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তাঁর কথায়, ‘‘ইচ্ছে করলেই জাতীয় সড়কে রিকশা ভ্যান চলাচল বন্ধ করা যায় না। তবে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। ’’
মঙ্গলবারের ঘটনার পরে শিলিগুড়ি শহরে ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘ছোট ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ে ফের পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করব।’’ অভিভাবকেরাও জানান, ইচ্ছে থাকলেও স্কুলবাসের ভাড়া অনেক বেশি হওয়ায় তাতে দেওয়া যায় না সন্তানদের। অনেক স্কুলে বাসও নেই। ভ্যানচালকদেরও দাবি, স্কুলে সময়মতো পৌঁছতে হলে জাতীয় সড়ক বা ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে যেই হবে। সে ক্ষেত্রে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা দাবি চালকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy