Advertisement
E-Paper

ফেসবুক ঘরে ফেরাল আট মাস ঘরছাড়া মহিলাকে

ঘটনাটি মেখলিগঞ্জ মহকুমার সাবেক ছিট ধবলসেতি মৃগিপুরের। ওই গ্রামেরই যুবক দেবজ্যোতি শুক্রবার বিকেলে দেখেন গ্রামের মোড়ের বটগাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছেন এক অপরিচিত মহিলা।

সজল দে 

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ০২:০৯
ফেরা: ছেলের সঙ্গে বাড়ির পথে দীপালি বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র

ফেরা: ছেলের সঙ্গে বাড়ির পথে দীপালি বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র

গাছতলায় আশ্রয় নেওয়া এক মহিলার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন মেখলিগঞ্জের দেবজ্যোতি রায় লস্কর। সেই ছবি পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পরেই তার কাছে এল ফোন। অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি বলে উঠলেন, ‘‘ওই মহিলা আমার স্ত্রী, একটু খেয়াল রাখবেন। আমরা ওঁকে আনতে যাচ্ছি।’’ ওই মহিলা যাতে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সেজন্যই ছবিটা পোস্ট করেছিলেন দেবজ্যোতি। তাই ফোন পেয়ে প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও পরে তাঁর চোখেমুখে তৃপ্তির ছাপ ফুটে ওঠে।

ঘটনাটি মেখলিগঞ্জ মহকুমার সাবেক ছিট ধবলসেতি মৃগিপুরের। ওই গ্রামেরই যুবক দেবজ্যোতি শুক্রবার বিকেলে দেখেন গ্রামের মোড়ের বটগাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছেন এক অপরিচিত মহিলা। ক্ষুধার্ত ওই মহিলাকে মানুষজন যা খাবার দিচ্ছিলেন তাই খাচ্ছিলেন। ভিড় ঠেলে কাছে গিয়ে তিনি নাম জিজ্ঞেস করলে মহিলা জানান, তার নাম দীপালি। বাড়ি তুরতুরি। এর বেশি আর কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এর পর শুক্রবারই দেবজ্যোতি ওই মহিলার ছবি ও পাওয়া তথ্য ফেসবুকে পোস্ট করেন নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে। এর পরই তার কাছে দীপালির বাড়ি থেকে ফোন আসে।

আলিপুরদুয়ার জেলার শামুকতলা থানার তুরতুরি গ্রামের বাসিন্দা নিখিল বিশ্বাসের স্ত্রী দীপালি বিশ্বাস আট মাস আগে নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের তরফে শামুকতলা থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। কিন্তু স্ত্রীর খোঁজ পাচ্ছিলেন না নিখিল। মাকে না পেয়ে চিন্তায় ছিলেন দীপালির দুই ছেলে দীপঙ্কর, শঙ্কর এবং তিন মেয়ে দীপিকা, শেমিকা ও লিপি। তাই শুক্রবার রাতে ফেসবুকে মায়ের ছবি দেখে তাঁরা তাঁকে নিতে আসেন।

শনিবার বিকেলে কুচলিবাড়ি থানার পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে দীপালিকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কুচলিবাড়ি থানার তরফে দীপালিকে নতুন পোশাক কিনে দেওয়া হয়। সেই পোশাক পরেই স্বামী সন্তানদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যান দীপালি বিশ্বাস।

Homeless Woman Facbook
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy