প্রকল্পের বোর্ড তুলে এনে মাঠে রেখে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। — নিজস্ব চিত্র।
একশো দিনের প্রকল্পের কাজ না করে গ্রামের বাঁশ বাগান, পরিত্যক্ত বাড়ি ও মহানন্দা নদীর চরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল প্রকল্পের বোর্ড। জানতে পেরে সেই বোর্ডই তুলে এনে গ্রামের মাঠে পুঁতে, একশো দিনের প্রকল্পে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল- ১ এর অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীগঞ্জ গ্রামে। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে গ্রামে অনেক কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজ হয়নি৷ গ্রামে কখনও কলা বা ফলের বাগান হয়েছে কিনা, কেউ মনে করতে পারছেন না৷ একটি গোয়ালঘর হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নামেই। গ্রামবাসীদের দাবি, খাতায় কলমে সব কাজ শেষ, টাকাপয়সাও তুলে নেওয়া হয়েছে৷ যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ মানতে চাননি অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য জাহাঙ্গির আলম। তিনি বলেন, ‘‘এ সব বিরোধীদের চক্রান্ত৷ আমি দেবীগঞ্জের উন্নয়ন করেছি, তা সহ্য হচ্ছে না৷ তাই মিথ্যে অভিযোগ করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে৷’’ বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সহ সভাপতি অয়ন রায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের দুর্নীতি ততই প্রকাশ্যে আসছে৷ অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জাহাঙ্গির ১০০ দিনের কাজের বোর্ডগুলোও লুকিয়ে রেখেছিলেন৷ গ্রামবাসীরা তা জানতে পেরে বোর্ডগুলি খুঁজে এনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’’
গুরুত্ব দিতে নারাজ চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ আফসার আলি৷ তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটা বিরোধীদের চক্রান্ত৷ অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচুর উন্নয়নের কাজ হয়েছে৷ সেই উন্নয়নকে ধামাচাপা দিতেই এ সব চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ কাজ না হলে পাঁচ বছর ধরে মানুষ কেন চুপ করে বসে ছিল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy