ভোট শুরু হওয়ার মুখে। সকাল সকাল বেশ ফুরফুরে মেজাজেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন উদয়ন গুহ। কিন্তু, বেলা বাড়তেই অন্য মুখ। যত বেলা বেড়েছে ততই মেজাজও বিগড়েছে তাঁর।
ফলশ্রুতিতে বুথের সামনে গিয়ে রাজ্য পুলিশের অফিসারকে ধমক দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আবার কখনও বুথের ভিতরে ঢুকে ছাপ্পা ভোটে মদত দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। উদয়নবাবুর কাণ্ড-কারবার দেখে বিরোধী জোট তো বটেই, তৃণমূলের একাংশের চোখও কপালে উঠে যায়। সব দেখেশুনে উদয়নবাবুর বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সরকারি সূত্রের খবর, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করার জন্য উদয়নবাবুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।’’ বিরোধীদের অভিযোগ, বহু চেষ্টা করেও সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়া আটকাতে না পেরে ধৈর্য্য হারিয়ে ছাপ্পা ভোট দিয়েছেন উদয়নবাবু। ধমকেছেন পুলিশকে।
তৃণমূলের দিনহাটার প্রার্থী উদয়নবাবু অবশ্য ঘটনাগুলি পুরোপুরি ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “কাউকে ধমক দিইনি। ছাপ্পা ভোটে মদতও দিইনি। বানিয়ে বানিয়ে বলা হচ্ছে। এসব অভিযোগ ঠিক নয়।” ওই কেন্দ্রের বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী অক্ষয় ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, মানুষ যাতে ভোট দিতে না পেরে সে চেষ্টা বেশ কয়েকদিন ধরেই করা হচ্ছিল। বহু বুথে তাঁদের এজেন্ট বসাতে দেওয়া হয়নি। হুমকি দিয়ে তাঁদের এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের দিন যত গড়িয়েছে তত স্পষ্ট হয়েছে তৃণমূল কিছু করতে পারছে না। সাধারণ মানুষ দলে দলে বেরিয়ে ভোট দিচ্ছে। তাতেই মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে উদয়নবাবুর।”