Advertisement
E-Paper

অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুড়ে ছাই গুদাম

নামী সংস্থার গুদামে অগ্মিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল শনিবার মাঝরাতে। মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। লাগাতার চেষ্টা করে আগুন লাগার আট ঘণ্টা পরে পাঁচটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৬ ০১:৩৪
পোড়া গুদাম থেকে উদ্ধার কাজ চলছে। — নিজস্ব চিত্র

পোড়া গুদাম থেকে উদ্ধার কাজ চলছে। — নিজস্ব চিত্র

নামী সংস্থার গুদামে অগ্মিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল শনিবার মাঝরাতে। মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। লাগাতার চেষ্টা করে আগুন লাগার আট ঘণ্টা পরে পাঁচটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা।

পুলিশের দাবি, ইলেকট্রিক সরঞ্জামের দোকানে চুরির চেষ্টার সময় গ্যাস কাটারের ব্যবহারের ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু ভাঙা তালাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ইলেকট্রিক সরঞ্জাম পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার ব্যবসায়ী মহল। জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উজ্জ্বল প্রধান বলেন, ‘‘ইদ ও পুজোর মরসুমে এমন ঘটনায় আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত।’’ অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করা হলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বছর পাঁচেক আগে একটি কফি হাউস খুলেছিলেন ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা সঞ্জীব সিংহ। তবে সেই ব্যবসা না চলায় ওই ভবনটি ভাড়া দেন তিনি। ২০১২ সালে শিলিগুড়ির নেপাল বস্তির বাসিন্দা শৈবাল ঘোষ ভবনটি ভাড়া নেন এক নামী সংস্থার ইলেকট্রিক সরঞ্জামের গুদাম ঘর হিসেবে। নিচ তলার একপাশে গুদাম ঘর এবং এক পাশে অফিস ঘরে কাজকর্ম চলত। গুদামঘরের পাশেই রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। এছাড়া পিছনের দিকে রয়েছে বস্তিও। শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গুদাম ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে এসে ভবনটির মালিক ও গুদাম কর্তৃপক্ষরা দেখেন গুদামের সাটারের তালা ভাঙা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় পর থেকে ফের আরও দু’টি ইঞ্জিন আসে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, গুদামটিতে কোনও আপৎকালীন দরজা ছিল না। তাই প্রথমে আগুন নেভাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। পরে গুদামের একাংশ ভেঙে আগুন নেভানো যায়। গভীর রাত থেকে স্থানীয় নয়নজুলি থেকে জল নিয়ে চলে আগুন নেভানোর কাজ। ওই সংস্থার ম্যানেজার কাশিনাথ দত্ত বলেন, ‘‘প্রায় দু’কোটি টাকার মজুত সরঞ্জামের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।’’ পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

fire
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy