আলোচনাসভায় বিভিন্ন দেশের বিচারবিভাগীয় কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।
বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে মনোযোগী হওয়ার আগে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। শনিবার শিলিগুড়িতে আইন বিষয়ে একটি আলোচনায় বক্তব্য রাখার সময়ে এমনই মন্তব্য করলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আব্দুল সালাম আজিমি। নিজের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে এ দিনের সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে কোনও রাখঢাখ করেননি আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, “নাগরিক নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার উপরে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো নির্ভরশীল।” বক্তব্যে আজিমির আক্ষেপ, “আমাদের দেশে প্রতিদিন সকালে বাসিন্দারা কাজে বার হন, কিন্তু তাঁরা নিরাপদে রাতে বাড়ি ফিরবেন কি না তা তাঁরা জানেন না। এই সমস্যার যত দিন সমাধান হবে না, ততদিন পর্যন্ত দেশের আর্থ সামাজিক উন্নতি সম্ভব নয়। কারণ, দেশের মানুষ কতটা নিরাপদ তার উপরে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে।”
শনিবার শিলিগুড়ির দাগাপুর এলাকায় একটি বেসরকারি আইন কলেজের আয়োজিত আলোচনাসভায় আজিমি যোগ দিয়েছিলেন। আলোচনা সভায় অংশ নিতে সার্কভুক্ত দেশগুলি থেকে বিচার বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের সর্বোচ্চ বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ, শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে শিপাবন, ভুটান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি লুংতেন দুবগের, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার, নেপালের অ্যাটর্নি জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল জি এস চাণ্ডেল বক্তব্য রাখেন।
ভুটানের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ভারত-নেপাল-ভুটান-শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান সহ সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যে এক ধরণের আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে তাতে এই দেশগুলিরই আইনি শাসন দৃঢ় হবে বলে মন্তব্য করেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ বলেন, “নিত্য নতুন অপরাধের সঙ্গে তাল মেলাতে আইনের পরিবর্তন হচ্ছে। আগামী দিনে যে কারণে আইনি জটিলতা বাড়ছে। তার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক থাকতে হলে সামাজিক ও আইনগত ভাবে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy