Advertisement
E-Paper

সামনে গুরু, প্রস্তুত শিষ্য

শিবির বদল করলেও এখনও তাঁকেই রাজনৈতিক গুরু বলেই মানেন তিনি। অতীতে গুরুর নির্বাচনী প্রচারের প্রধান দায়িত্ব তাঁকেই সামলাতে দেখা গিয়েছে। এ বারে সেই গুরুর বিরুদ্ধেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি। রায়গঞ্জের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানো সেই শিষ্যের নাম অভিজিৎ সাহা ওরফে বাপি।

গৌর আচার্য

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১১
মোহিত সেনগুপ্ত ও (ডানদিকে) অভিজিৎ সাহা

মোহিত সেনগুপ্ত ও (ডানদিকে) অভিজিৎ সাহা

শিবির বদল করলেও এখনও তাঁকেই রাজনৈতিক গুরু বলেই মানেন তিনি। অতীতে গুরুর নির্বাচনী প্রচারের প্রধান দায়িত্ব তাঁকেই সামলাতে দেখা গিয়েছে। এ বারে সেই গুরুর বিরুদ্ধেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

রায়গঞ্জের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানো সেই শিষ্যের নাম অভিজিৎ সাহা ওরফে বাপি। তাঁর রাজনৈতিক গুরু রায়গঞ্জ পুরসভার বিদায়ীচেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। মোহিতবাবুর নিজের ওয়ার্ড ২১ নম্বর। ২০১১ সালে ওই ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তত্কালীন ২৪ (বর্তমানে ২৬) নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। এ বছরও ২১ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন মোহিতবাবু।

এ বছর রাজনৈতিক শিষ্যের বিরুদ্ধে লড়াইকে কোনও গুরুত্বই দিতে চাইছেন না মোহিতবাবু। তাঁর কথায়, বিদায়ী পুরবোর্ডের আমলে রায়গঞ্জ শহরের ধারাবাহিক উন্নয়নের সৌজন্যে সমস্ত ওয়ার্ডের বাসিন্দারাই কংগ্রেসের পাশে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘তাই আমার বিরুদ্ধে ভোটে কে দাঁড়ালেন বা তিনি আমার বিরুদ্ধে কী বলছেন, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই।’’

তবে মোহিতবাবু মুখে যাই বলুন, লড়াইটা যে এ বারে কঠিন, তা মেনে নিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের একাধিক নেতা। রায়গঞ্জের দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ মাসখানেক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। রায়গঞ্জ বিধানসভা তথা রায়গঞ্জ শহর কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অভিজিৎবাবু ওই ওয়ার্ডেরই স্থায়ী বাসিন্দা। মোহিতবাবুর বাড়ি অন্য ওয়ার্ডে। এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি।

তবে প্রায় আড়াই দশক ধরে মোহিতবাবুর রাজনৈতিক শিষ্য হিসেবেই কংগ্রেসে ছিলেন অভিজিৎবাবু। প্রায় চার দশকের কাউন্সিলর মোহিতবাবু ২০১১ সালে যখন ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই সময় এই অভিজিৎবাবুই তাঁর নির্বাচনী প্রচারের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনেও ওই ওয়ার্ডে মোহিতবাবুর হয়ে গলা ফাটিয়েছেন তিনি। ফলে মোহিতবাবুর সূত্রেই এলাকায় জনসংযোগ তৈরি হয়েছে অভিজিৎবাবুর। তাঁর দাবি, ‘‘আমার রাজনৈতিক গুরু মোহিতবাবু গত পাঁচ বছরে নিয়মিত ওয়ার্ডেই আসেননি। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ বা পরিচয় নেই। তিনি বহিরাগত। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়ন করতে পারেননি।’’ অভিজিৎবাবুর কথায়, ‘‘গুরুর হয়ে এত দিন এলাকা ও বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আমি খোঁজ রাখতাম। তাই গুরুকে হারানো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে মোহিতবাবুকে আমি আজীবন গুরুর সম্মানই দিয়ে যাব।’’

Municipal Election TMC Copngress Raiganj Mohit Sengupta Abhijit Saha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy